জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২০শে মার্চ ২০২১ : শনিবার : শিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফিরেই মারা যায় এক বছর পাঁচেকের শিশু। ঘটনার জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় শিক্ষক রূপি মামাকে গ্রেপ্তার করে মাল থানার পুলিশ। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাল ব্লকের ডামডিম এর তাজিয়া মোড়ের কাছে রানিচিরা চা-বাগানের বালাবাড়ি ডিভিশনে। মৃত শিশুর নাম সঞ্জন বাঘোয়ার(৫)। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষকের নাম রাজা বারলা। শিক্ষক আবার মৃত শিশুর মামা।
জানাগেছে, বালাবাড়ি ডিভিশনের মৃত শিশুটির পরিবার থাকে। কাছেই মামা বাড়ি। মামার পরিবারের লোকেরাই বোনের পরিবারকে দেখাশোনা করে। প্রতি সন্ধ্যায় শিশু সঞ্জন মামার কাছে পড়তে যেত। সেই রকম ভাবে শুক্রবার পড়তে যায়। সন্ধ্যা নাগাদ পড়ে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বেহুশ হয়ে যায়। এরপর মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে। অভিযোগ ওঠে মামা হয়তো পড়ার সময় হয়তো সামান্য মেরেছে শিশুটিকে তার জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে রাজা বারলার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করে নি।
খবর পেয়ে রাতেই মাল থানার পুলিশ রাজা বারলাকে গ্রেপ্তার করে এবং শনিবার শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মৃত শিশুর এক প্রতিবেশী বিষ্ণু টোপ্পো জানান, ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল তা আমি দেখিনি। শিশু সঞ্জন অন্যান্য দিনের মতো মামা রাজার কাছে পড়তে যায়। পড়ে ফিরে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। এটা নিছক এক দুর্ঘটনা। মৃত শিশুর মাসির ছেলে করন বাঘোয়ার বলেন, সঞ্জনের মামা ভালো। ওরাই সঞ্জনদের পরিবারকে দেখাশোনা করে। হটাৎ করেই এই ঘটনা ঘটে।
পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখানের কিছু লোক বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে বলে মামাকে মারধোর করে। পরে পুলিশ মামাকে ধরে নিয়ে যায়। মামার কোন দোষ নেই। আমাদের মামার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমরা চাই মামাকে ছেড়ে দিক পুলিশ। মামা নির্দোষ। এনিয়ে মাল থানার আইসি সুজিত লামা জানিয়েছে, রাজা বারলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করা হয়েছে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।