জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৫শে মার্চ ২০২১ : বৃহস্পতিবার : জল না থাকায় শুকিয়ে যাচ্ছে গাছপালা এবং কুয়ো। আর জল এর জন্য গ্রামের মানুষ দায়ী করছে নদী খনন কে। বৃহস্পতিবার দিন তাই গ্রামের মানু চেল কলোনী এলাকায় গ্রামের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় মানুষ সঞ্জয় সরকার, মিঠুন রায়দের বক্তব্য, চেল কলোনীর পাশেই রয়েছে চেল নদী। আর এই নদীতে গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু ক্যাসার (বালি পাথর চালনি করা মেশিন)। প্রতিদিন জেসিপি গাড়ি দিয়ে নদী খুড়ে তোলা হচ্ছে বালি পাথর। আর এতেই নদীর জলের স্তর নিচে নেমে গেছে। পাশাপাশি চেল সেতুর ২০০ মিটারের মধ্যে থেকেও বালি, পাথর তোলা হচ্ছে। আর এতেই নদীর মধ্যে বড় বড় গর্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এলাকার জল ওই গর্তে জমা হওয়ার কারনে, গ্রামের বাড়ির কুয়োর জল শুকিয়ে যাচ্ছে। জলের অভাবে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে গাছপালা। বার বার বিভিন্ন জায়গায় বলেও কোন লাভ হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের রাস্তা আটকে দিয়েছি। সমস্যা না মিটলে এই রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি চলাচল করতে দেব না। এলাকার মহিলা শ্যামদাসী রায় বলেন জলের জন্য প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কোন উপায় খুজে পাচ্ছি না। বহু দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। স্নান, বাথরুম এর সমস্যা হচ্ছে। নদীতে বেয়াইনি ভাবে খোরার ফলেই এই সমস্যা। এলাকার ক্যাসার মালিক সঞ্জয় পাল বলেন, এই চেল নদীতে বহু ক্যাসার আছে কিন্তু গ্রামের কিছু যুবক শুধু আমার ওপরই সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমি নিজের উদ্যোগে গ্রামে বেশ কিছু কুয়ো তৈরি করে দিচ্ছি। কিছু কারনে কুয়ো তৈরি করতে বিলম্ব করছে মিস্ত্রী, কিন্তু একটু সময় দিলে সব কুয়ো তৈরি হয়ে যাবে। তবে যে ভাবে দিনের পর দিন নদী থেকে বেয়াইনি ভাবে জেসিপি গাড়ি দিয়ে নদীতে বড় বড় গর্ত করে বালি পাথর তোলা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে চেল কলনী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ। কারন এই সময় যেমন প্রচন্ড জলের সমস্যা হবে, তেমনি বর্ষার সময় জলের শ্রোতে ক্ষতি হবে এই এলাকার নদী বাধের।