জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৮ই এপ্রিল ২০২১ : রবিবার : একদিকে কোভিড অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করেই ময়নাগুড়ি জুড়ে পালিত হচ্ছে বাসন্তী পুজো। সোমবার মহা সপ্তমী। আর এই দিন দেবীর পুজোতে পুণ্যার্থীদের ঢল থাকে চোখে পড়ার মতো। তবে পুজোর ক্লাব গুলো সমস্ত নিয়ম নীতি মেনেই পুজো এবং পুজোর প্যান্ডেল করেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক, স্যানিটাইজার এর ব্যবহার এর পাশাপাশি সচেতনতা মূলক ব্যানার লাগিয়ে পুণ্যার্থীদের সচেতন করছেন ক্লাব গুলি। বাসন্তী পুজো আসলে মহামায়ার আরেকরূপ। তবে শরৎকালে যে দেবী দুর্গার পুজো হয় তা হলো দেবীর অকাল বোধন। শরৎ কালে সেই পুজো রাম চন্দ্র সীতাকে উদ্বারের সময় পুজো দিয়েছিলেন। আর অকালে পুজো দিয়েছেন বলেই ওই পুজোকে দেবীর অকাল বোধন বলে। আবার শরৎ কালে দেবীর পুজো হয় বলে তাকে শারদীয় দুর্গা পূজাও বলা হয়। তবে বসন্ত কালের এই বাসন্তী দেবীর পুজোকেই দেবীর মূল রূপ ধরা হয়। কথিত আছে, রাজ্যহারা রাজা সুরথ এবং স্বজন পরিত্যক্ত বণিক সমাধি বৈশ্য একবার উপস্থিত হয়েছিলেন মেধা মুনির আশ্রমে। মুনির কাছে পদে নিজেদের দুঃখের কথা ব্যক্ত করেন তাঁরা। মেধা ঋষি সুরথ ও সমাধি বৈশ্যের দুঃখ – দুর্গতির কথা শুনে তাঁদের ‘মধুময়ী চন্ডী’র কথা শোনান। মেধা ঋষির উপদেশ শুনে সুরথ ও সমাধি বৈশ্য অরণ্যের মধ্যেই ঋষি মেধসের আশ্রমে মৃন্ময়ী মুর্তি গড়ে সর্বপ্রথম দশভূজা দুর্গা পুজো শুরু করেছিলেন। বসন্ত কালের শুক্লপক্ষে এই পুজোর শুরু হয় বলে এই পুজোকে বাসন্তী পুজো বলে। এই বাসন্তী পুজোই দেবী মহামায়ার মূল পূজো।
কোভিড পরিস্থিতি এবং ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ময়নাগুড়ি জুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বাসন্তী দেবীর পুজো।
ময়নাগুড়ির নবীন সংঘের পুজো এবার ৭১ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। ক্লাবের অন্যতম সদস্য প্রীতম দাস বলেন, এই পুজো আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে হয়ে আসছে। এবার এই পুজো ৭১ তম বর্ষে। আমাদের গ্রামের সকলে মিলেই এই পুজো আমরা প্রতি বছর করে থাকি। ময়নাগুড়ি বিবেকানন্দ পাড়ার পিসি ইউনিট এর পুজো এবার দ্বিতীয় তম বর্ষে। পি সি ইউনিট এর সম্পাদক বলেন, গত বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে আমরা পুজো করতে পারি নি। তবে এবার পুজো করছি, প্যান্ডেলে মাস্ক, স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এমনকি সচেতনতার বার্তাও আমরা প্রদান করছি ক্লাবের পক্ষ থেকে।