জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৪শে এপ্রিল ২০২১ : শনিবার : গত ২০-২৫ দিন ধরে ডুয়ার্সের মালবাজার শহরে করোনা সংক্রামণ আচমকাই বেড়ে যায়। পাশাপাশি ঘটতে থাকে মৃত্যু। পরিস্থিতি ক্রমাগত উদ্বেগ জনক হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ কয়েকদিন আগেই শহরের বুকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানান হয়। তারপরেও পরিস্থিতি খানিক অবনতি হয়।
এই অবস্থায় শুক্রবার রাতে ব্যাবসায়ীদের অনুরোধে মালবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে সপ্তাহে মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার শহরের দোকানপাট, হাটবাজার বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়। শুধু মাইকিংয়ের অপেক্ষায় ছিল। মাইকিং হতেই শনিবার শহরে সকাল থেকেই হাটবাজার, রাস্তাঘাট সব সুনসান হয়ে যায়। শনিবার কোন ব্যবসায়ী দোকান খোলেনি। দৈনিক বাজারের সব বন্ধই ছিল। এমনকি চা দোকান, পান দোকান পর্যন্ত বন্ধ ছিল। স্টেশন রোড, জাতীয় সড়কে, বাজার রোড সহ অন্যান্য রাস্তায় লোকজন চলাচল নগন্য ছিল। সরকারী দপ্তর খোলা থাকলেও লোক সমাগম দেখা যায়নি।
শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল বেলা বেসরকারী বাস সে রকম চলে নি। উত্তরবঙ্গ রাস্ট্রীয় সংস্থার কিছু বাস চলাচল করলেও যাত্রী ছিল না বললেই চলে। শুধু ওষুধের দোকান খোলা ছিল। স্টেশন রোড অন্যান্য দিন প্রাণ চঞ্চল থাকে কিন্তু, শনিবার ছিল সুনসান। সবচেয়ে অবাক বিষয়, বন্ধের ব্যাপারে রাস্তায় পুলিশ বা পৌরকর্মীদের নামতে হয়নি। শহরের মানুষ আতংকে স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে গৃহবন্দী করে ফেলেন। সকালের দিকে এদিক ওদিক পাড়ার মোরে কিছু মানুষের জটলা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথেই সব উধাও হয়ে যায়। দুপুরের পর সব সুনসান হয়ে যায়। অনেকেই চাইছেন এই সুনসান অবস্থা যেন কিছুদিন চলুক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই রকম লকডাউন চলুক। এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে মালবাজার শহরের মানুষ শনিবার যেন এক ঐক্যবদ্ধ ভাবেই সারা দিয়েছে।