জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৩শে এপ্রিল ২০২১ : শুক্রবার : বৃহস্পতিবার আলিপুর জেলায় একটি হাতির মৃত্যুর পর শুক্রবার আবার আর এক হাতির মৃত্যু হয়েছে মালবাজার মহকুমার কাঠামবাড়ি বন দপ্তরের আপালচাদ জঙ্গলে। সাব অ্যাডাল্ট পুরুষ এই হাতিটির কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায় নি। ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারন জানা যাবে। তবে হাতিটি দু-তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কারন জঙ্গলের আশেপাশে দুর্গন্ধ বেরিয়ে গেছে।
বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আপালচাদ জঙ্গলের মধ্যে এই মৃত হাতিটিকে দেখতে পায় বন কর্মিরা। যেহেতু রাত হয়ে যায়, তাই শুক্রবার সকাল থেকে বন আধিকারিক এবং চিকিৎসক এর একটি দল হাতিটি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে। শুক্রবারই ময়না তদন্ত হবে হাতিটির। তবে জঙ্গলের ভেতরে হাতি ছবি তুলতে বাধা দেয় বন কর্মি এবং আধিকারিকরা। যে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, সেই হাতির ছবি তুলতে সাংবাদিকদের বাধা কেন? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের বক্তব্য হাতিটির মৃত্যু দু তিন দিন আগে হয়েছে। গন্ধ বের হয়ে গেছে। যেখানে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, তার থেকে কিছুটা দুরেই বন দপ্তরের অফিস। তারপরও দেরিতে মিললো মৃত হাতির দেহ। এই নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এব্যাপারে বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মত পোষণ করছে। শিলিগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ন্যাফের কর্ডিনেটার অনিমেষ বসু বলেন, সম্ভবত হাতিটি দু-তিন আগে মারা যেতে পারে।
এব্যাপারে বন কর্মিদের জঙ্গল এলাকায় আরো বেশি টহল দিতে হবে। ওদলাবাড়ি পরিবেশ প্রেমী ন্যাসের সম্পাদক নফসর আলী বলেন, এই হাতি এক দিন আগে মারা গেছে, সেটা ঠিক নয়। জঙ্গল এলাকায় মৃত হাতির দুর্গন্ধ ভরে গেছে। হাতির শরীরে পচন ধরে গেছে। দু তিন দিন আগে সম্ভবত হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। বন দপ্তরের ডি এফ ও হারিক্রিষ্ণান জানিয়েছেন, জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ, তাই বাধা দেওয়া হয়েছে। হাতিটি মৃত্যু এক দিন আগে হয়েছে। জঙ্গলের মধ্যেই ময়না তদন্ত হবে হাতিটির। তারপর জানা যাবে কি কারনে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।