জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ই মে ২০২১ : শুক্রবার : চাবাগান এলাকায় চিতাবাঘের উপদ্রব লেগেই আছে। মাঝে মধ্যেই চাবাগানে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিকেরা। আবার কখনো শ্রমিকদের গরু-ছাগল, হাস-মুরগী মেরে খাচ্ছে চিতাবাগ। চিতাবাঘ হাত থেকে রেহাই পেতে বাগান কতৃপক্ষের অনুরোধে বিভিন্ন চাবাগানে খাঁচা পেতেছে মালবাজার বন দপ্তর।
এই ভাবে মাল ব্লকের রানিচিরা চাবাগানে এক নম্বর সেকশনে ছাগলের টোপ দিয়ে পাতা হয়েছিলো খাঁচা। আর সেই খাঁচায় ধরা পরলো সাব অ্যাডাল্ট স্ত্রী চিতাবাঘ। শুক্রবার শ্রমিকেরা চাবাগানে খাঁচা বন্দি চিতাবাঘ দেখতে পায়। খবর পেয়ে আসে চা-বাগান কতৃপক্ষ এবং মালবাজার ওয়াল্ড লাইফের বন কর্মিরা। খাঁচা বন্দি চিতাবাঘ কে নিয়ে যাওয়া হয় লাটাগুড়ির এন আই সি তে।
চাবাগানে সহকারী ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার বলেন, এই চা-বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রব খুব বেড়ে গিয়েছিলো। দিনের বেলায়ও চিতাবাঘ দেখা যেতো বাগানে। শ্রমিকেরা কাজ করতে ভয় পাচ্ছিলো। পাশাপাশি শ্রমিকদের বাড়ি থেকে বিভিন্ন গৃহপালিত পশু নিয়ে যেতো চিতাবাঘ। তাই শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই বন দপ্তর কে বলে বাগানে খাঁচা পাতা হয়। আজ একটি খাঁচা বন্দি হয়েছে। বাগানে আরও চিতাবাঘ রয়েছে। তাই বন দপ্তর কে বলে আবার খাঁচা পাতার ব্যাবস্থা করতে বলবো।
মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা বলেন, এই চাবাগানে কয়েক সপ্তাহ আগে এক যুবক চিতাবাঘ এর আক্রমনে আহত হয়। এছারা মাঝে মধ্যে শ্রমিকদের গরু, ছাগল, শুকর খেয়ে নিচ্ছিলো চিতাবাঘ। তাই বাগান কতৃপক্ষের দাবি মত খাঁচা পাতা হয় এখানে। এখন খাঁচা বন্দি চিতাবাঘ কে লাটাগুড়ি এন আই সি তে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করে গরুমাড়ায় ছেড়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য গত তিন দিনে মানাবাড়ি চাবাগান থেকে দুটি চিতাবাঘ খাচাবন্দি হয়েছে। আর শুক্রবার দিন রানিচিরা চাবাগানে আবার খাঁচা বন্দি হয় চিতাবাঘ। অর্থাৎ গত চার দিনে ৩টি চিতাবাঘ খাচাবন্দি হলো দুটি চাবাগানে। আর এতেই কিছুটা স্বস্থি পেলো চা শ্রমিকেরা।