দক্ষিন দিনাজপুর : বালুরঘাট : ১৮ই মে ২০২১ : মঙ্গলবার : করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির দেহ শ্মশানে সৎকাজের বাধা দিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকার মানুষদের মধ্যে বাগদ্বন্দ্ব চলছিল। করোনা আক্রান্ত মৃতদেহগুলি বালুরঘাট শ্মশানে পোড়াতে বাধা মুখে প্রশাসন। স্থানীয় এলাকার মানুষদের থেকে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই এলাকার বাসীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক হয় প্রশাসনের তরফে। অবশেষে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গেল এলাকাবাসীদের তরফ থেকে। যদিও বেশ কয়েকটি শর্ত মোতাবেক করোনা রোগীকে পড়ানোর অনুমতি রাজি হয় এলাকাবাসীরা।
এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেশ কিস্কূ, এছাড়া বালুরঘাট মহকুমা শাসক সহ বালুরঘাট থানার আইসি ছাড়া প্রশাসনিক অন্যান্য কর্তারা। বালুঘাট মহকুমা শাসক স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে জানান, করোনা রোগীর মৃতদেহ দাহ করলে ৪৮ ঘণ্টার পর কোন প্রকার করোনা রোগের সংক্রমণ ছড়াবে না এলাকায় এবং তিনি আরো বলেন, মৃতদেহ দাহ করার পড়ে সম্পূর্ন জায়গা সেনিটারাইজ করে দেওয়া হবে, এই গুলি নিয়ে সচেতন করেন এলাকাবাসীকে। এছাড়াও এলাকাবাসীদের বক্তব্য প্রশাসনের কর্তারা শোনেন। শ্মশান এলাকা সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দারা বেশির ভাগই পরিচারিকার কাজ করে তারা প্রশাসনিক কর্তাদের জানান, করোনা মৃতদেহ দাহ হলে রোগ সংক্রমণ বাড়বে তাই লোকের বাড়িতে তাদের কাজ করতে নেওয়া হয় না। এই নিয়ে তাদের মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হয়।
মহকুমা শাসক বিষয়টি বালুরঘাট থানার আইসি কে জানিয়েছেন, যে সমস্ত বাড়ি থেকে এমন অভিযোগ পাবে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফ থেকে। এছাড়াও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে আরও দাবী করা হয় যেই সমস্ত বাড়ি শ্মশান কেন্দ্রিক এলাকায় তাদের বেশিরভাগ বাড়িতেই বৃদ্ধ ও মধ্য বয়সী ব্যক্তিদের করোনা ভ্যাকসিন এর সুব্যবস্থা করতে হবে এবং মৃতদেহ রাত একটার পর থেকে তিনটে পর্যন্ত পড়ানোর নিয়ম করতে হবে। তার সাথে প্রশাসনের কাছে আরও একটি আবেদন করে স্থানীয়রা খিদিরপুর শ্মশানের মুখ্য গেট দিয়ে করোনা দেহ ভেতরে প্রবেশ না করে অন্যত্র অস্থায়ী ভাবে গেট বানিয়ে শ্মশানের ভেতরে প্রবেশ করার আবেদন জানান স্থানীয় এলাকাবাসীরা।