জলপাইগুড়ি : বেলাকোবা : ২০শে মে ২০২১ : বৃহস্পতিবার : করোনা মহামারীতে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তের অভাবে পরিবারজনরা রক্ত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই সময় বেলাকোবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন লাভারস এগিয়ে এসে বৃহস্পতিবার এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। এই উদ্যোগে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ডাক্তার দুর্বার গাঙ্গুলী সহ ৬ জনের টিম সহযোগিতা করেন।
বেলাকোবার শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুর হাটে করোনার বিধি-নিষেধ মেনে সকাল এগারোটা থেকে দুটো পর্যন্ত রক্তদান শিবিরে পুরুষ ও মহিলা নিয়ে সাত জন রক্ত দান করেন বলে সংস্থার সম্পাদক অশোক দাস জানান। মোট সাত ইউনিট রক্ত জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রক্তদাতা দেবিকা রায়(২৮) বলেন, রক্তদান জীবন দান, একদিকে করোনাতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে অপরদিকে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের হাহাকার দেখা দিয়েছে, এই প্রথম বার রক্ত দিয়ে বেশ ভালো লাগছে।
অশোক দাস বলেন, মানুষের ধারণা রক্তদান করলে ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যায় যা আদৌ সত্য নয়। যুব সমাজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কয়েকদিন রক্ত দিতে পারবে না। তাই যুব সমাজের প্রতি তিনি আবেদন রাখেন, ভ্যাক্সিনেশন করার আগে যেখানেই রক্তদান শিবির হোক সেখানে যেন তারা রক্তদান করেন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ব্লাড ব্যাংকের ডাক্তার দুর্বার গাঙ্গুলী বলেন, করোনা এবং ভোটের কারণে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের অবস্থা খুব খারাপ, আরো ক্যাম্প হলে ভালো হয়। রক্তদান শিবিরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে রক্তদান সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েদেন সদস্য- সদস্যারা।