জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২১শে মে ২০২১ : শুক্রবার : প্রতিদিন বারছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে রাজ্য জুরে বারছে মৃতের সংখ্যাও। মালবাজার মহকুমা এলাকাতেও আক্রান্তের সংখ্যা বারছে। প্রতিদিন বহু করোনা রূগীকে মেটেলি সেভ হোমে এবং জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এমনও অনেক করোনা রোগী আছেন, যারা বাড়িতে হোম আইসোলশন আছে। এরকম ছবি দেখা গেছে ক্রান্তি ব্লকে।
তাই এই ক্রান্তি ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যানেটাইজিং করছেন পদ্মশ্রী করিমুল হক এবং উনার ছেলে আহাচানুল হক। পাশাপাশি অনেক রোগীর বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগিয়ে দিয়ে আসেন করিমুল এবং উনার বড় ছেলে। বিগত দিনে দেখা গেছে, কোন বাড়ির লোক করোনায় আক্রান্ত হলে আশেপাশে লোক জন, সেই বাড়ি কাছাকাছি আসে না। এমনকি খোজ খবরও নেয় না। তবে বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা করিমুল হক, অন্যদের থেকে একদম আলাদা। করিমুল হক নিজের ছেলেকে পিপি কিট পরিয়ে করোনা আক্রান্তের বাড়িতে স্যানেটাইজিং এর কাজ করছে। প্রটেকশন নিয়ে নিজে গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগিয়ে দিচ্ছেন করোনা রোগীকে। পাশাপাশি করোনা রোগীর সাথে কথা বলে মনবল বারাচ্ছে।
পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, এই সময় আমাদের ভেঙ্গে পরলে চলবে না। মনের জোর রাখতে হবে। আমরা করোনাকে হারিয়ে সুস্থ্য থাকবো। এই সময় আমাদের করোনা আক্রান্তের পাশে থাকতে হবে। তবেই তো আমরা জয়লাভ করবো। তিনি বলেন, আমার একটা ছোট্ট হাসপাতাল আছে(করিমুল সেবাসদন)। এই করোনা সময় গ্রামের বহু মানুষ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন কিন্তু করোনার জন্য হাসপাতালে যেতে পারছে না। আমার হাসপাতালে বহু চিকিৎসকসহ বহু মানুষ ঔষধসহ বিভিন ভাবে সাহায্য করে আসছে। আমি সেই ঔষধ গ্রামে ঘুরে ঘুরে অসুস্থ্য রোগীদের, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিনা মুল্যে দিচ্ছি। যাতে কোন মানুষ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে না মারা যায়। তাছারা প্রতিদিন আমরা করোনা রোগীদের খাবার পৌছে দিচ্ছি। যাতে সবাই সুস্থ্য থাকে। এই ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন করিমুল হক।