জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২১শে মে ২০২১ : শুক্রবার : মালবাজার ব্লকের রানিচিরা চাবাগান সংলগ্ন এলাকায় উড়ালপুল নির্মান কাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেও একের পর এক চুরির ঘটনায় নাজেহাল কতৃপক্ষ। নির্মানকারী সংস্থার অভিযোগ, গত তিন বছরে একাধিকবার কাজের সাইটে লোহালক্কড়,বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও অন্য নির্মান সামগ্রী চুরি হলেও কোনও কিনারা হয় নি।
তার ওপর গতকাল ফের একবার নির্মান সামগ্রী ও লোহার রড চুরির ঘটনা সামনে আসায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন উড়ালপুল নির্মানকারী সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সন্দীপ দুবে। সন্দীপ বাবুর অভিযোগ, এদিন সকালে কাজের সাইটে গিয়ে দেখা যায় যে উড়ালপুল নির্মান কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ক্রস প্লেট ভেঙে তার ভেতরের ভারী লোহার রড চুরি করা হয়েছে। একেকটি ক্রস প্লেট তৈরি করতে মোটামুটি ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সেরকম প্রায় ১০ টিকে ভেঙে ভারী লোহার রড চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুস্কৃতিদের দল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১০ মার্চ কাজ শুরু হওয়ার পর এর আগেও একাধিকবার এখানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি।
জানা গিয়েছে যে,”সেতু ভারতম” প্রকল্পের অধীন জাতীয় সড়কের ওপর ঝাঁ চকচকে নতুন চারলেনের উড়ালপুলের নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের চেল সড়ক সেতুর পর থেকে ১.৬ কিমি দৈর্ঘ্যের এই উড়ালপুলের দুপাশের অ্যাপ্রোচ রোড, দুপাশের সারি সারি আলোকস্তম্ভ,হাই মাস্ট টাওয়ার সহ যাবতীয় নির্মান কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। মাঝে শুধু রেল লাইনের ওপর বিশাল গার্ডারগুলো তুলে দেওয়া বাকি। একবার এই কাজটি হয়ে গেলেই সড়কের ওপর পিচ ঢালার কাজ শুরু হবে। এই পরিস্থিতিতে বারবার চুরির ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কাজের গতিও থমকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সৌরভ সাহা নামে নির্মানকারী সংস্থার এক সুপারভাইজার বলেন, যে চুরির ঘটনা সামনে এসেছে সেটাও আমরা পুলিশকে লিখিত আকারে জানাবো।