জলপাইগুড়ি : ধূপগুড়ি : ২১শে মে ২০২১ : শুক্রবার : ধূপগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি ২ নং জিপির নাথুয়া এলাকায় ফটকটারি এবং ভাটিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের সমস্যায় ভুগছেন। অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি এবং ঝড় হলেই এই এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় থাকেনা কোনো বিদ্যুৎ। এর ফলে সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মতো বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে থাকে এই এলাকাগুলি। ফলস্বরূপ সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নাজেহাল অবস্থায় পরিণত হয়। অনেকের পড়াশুনা লাটে উঠে যায়।
এছাড়াও বিদ্যুতের ভোল্টেজ এর সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই এলাকায় বিদ্যুতের ভোল্টেজ না থাকার কারনে হিমশিম অবস্থায় পরিণত হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েন বয়স্ক বৃদ্ধরা। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে বারংবার বিদ্যুৎ দপ্তরে নিকট সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। তবুও এ বিষয়ে কোনরূপ কর্ণপাত করেনি বিদ্যুৎ দপ্তর বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা অভ্র নীল বোস, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে আধিকারিকদের মেইল করা হলে।
জলপাইগুড়ি বিদ্যুৎ দপ্তরে রিজিওনাল ম্যানেজার বিষ্ণু দত্ত মেইল মারফত জানান, নাথুয়া হাট থেকে ধূপগুড়ি সাব স্টেশন এর দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের মতো। পুরো রাস্তা বাঁশঝাড় দিয়ে ভর্তি, সেকারনে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে ১১ কেবি বিদ্যুতিক জন্য ডাউকিমারী এবং নাথুয়াহাটের মাঝখানে একটি ৩৩/১১ কেবি পাওয়ার হাউস তৈরির জন্য ডিপার্টমেন্ট কে জানিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে। যদিও পরবর্তীতে সেই স্টেশন এর পরিকল্পনা কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নইলে পরবর্তীতে তারা বড়োসড়ো আন্দোলনে নামবেন বলেও জানিয়ে দেন। এই সমস্যা শীঘ্রই সমাধান না হলে তারা বিদ্যুৎ বিল বয়কট করবে বলে জানিয়ে দেন।