জলপাইগুড়ি : ধুপগুড়ি : ৩রা জুন ২০২১ : বৃহস্পতিবার : দাদুর বাড়ি প্রবেশ করতে হয় জঙ্গল এর মধ্যে দিয়ে। ধূপগুড়ি ১নং ওয়ার্ডের জঙ্গল পাড়ার এক দাদু ও দিদা হারাধন মন্ডল ও বিমলা মন্ডল লকডাউন এর আগে সংসার চলতো ওই শাক পাতা বিক্রি করে, তাও সপ্তাহে দুদিন বিক্রি করতো, দিনে আয় ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
এই অবস্থায় কিছু দিন আগে বার্ধক্য ভাতার টাকা দিয়ে গোপালের জন্য একটা সিংহাসন নিয়েছে , নিজের সংসার চলবে কিভাবে সেই সব না ভেবে। এই করোনা কালে ব্যাবসা নেই, তাদের শুধু শাক খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছিল। কিন্তু তাদের বিশ্বাস ছিল গোপাল এর উপর। গোপাল সেই বিশ্বাস রেখেছে , বুধবার ধূপগুড়ির এক সংবাদ পোর্টাল এ খবর বেড়োনো মাত্র বৃহস্পতিবার অনেকেই গিয়েছে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গিয়েছে। কিরন টিম এর পক্ষ থেকে খবর টা দেখে যেহেতু আমাদের ও খারাপ লাগে তাই দেরি না করে বর্তমানে তারা ও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। টিম পক্ষ থেকে দিপায়ণ দত্ত দাদু-দিদার কাছে জানতে চেয়েছেন তাদের কোনটা বেশি প্রয়োজন, কি পেলে বেশি উপকৃত হবে। তারা জানায় তাদের দুজনের শরীর ভালো নেই , সেটা শুনে দাদু কে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারবাবু সমস্ত শুনে তাদের চিকিৎসা বিনামূল্যে করবেন বলে জানিয়েছেন। এর পর দাদু কে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে তাদের হাতে ৫০০/- টাকা ও কিছু মাস্ক ও স্যনিটাইজার তুলে দেওয়া হয়।