জলপাইগুড়ি : ধুপগুড়ি : ৩রা জুন ২০২১ : বৃহস্পতিবার : রনে বনে জলে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমি তোমাকে রক্ষা করিব বলেছিলেন ভগবান বাবা লোকনাথ। সব বিপদেই রক্ষা করেন বাবা । ‘জয় বাবা লোকনাথ’ মন্ত্রটি উচ্চারণের মাধ্যমে জীবনের পথ সুদৃঢ় হয় ও যে কোনও বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি খুব ভক্তি সহকারে মন থেকে লোকনাথ বাবাকে স্মরণ করা যায়, তা হলে ভক্তের সব মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় এবং তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায় খুব সহজেই। জন্মাষ্টমী তিথিতেই জন্ম হয়েছিল লোকনাথ ব্রহ্মচারীর, ভক্তদের কাছে তিনি বাবা লোকনাথ নামেই তিনি পরিচিত। ১১৩৭ বঙ্গাব্দ (ইংরেজি ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে) তত্কালীন যশোহর জেলা আর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত মহকুমার চৌরশী চাকলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম রামনারায়ণ ও মায়ের নাম কমলা দেবী। বাবা ছিলেন ধার্মিক ব্রাহ্মণ। পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান ছিলেন তিনি। লোকনাথকে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করানোর জন্য ১১ বছরে উপনয়ন দিয়ে পাশের গ্রামের ভগবান গাঙ্গুলীর হাতে তুলে দেন । এ সময় তাঁর সঙ্গী হন বাল্যবন্ধু বেনীমাধব। লোকনাথ বাবার পুজোয় উপকরণ লাগে খুবই সামান্য ৷
ধুপগুড়ি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবা লোকনাথ মন্দিরের শুভ দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে এইবছরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আমাদের কপালে ফেলেছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। বাকি বছরের থেকে এবছরের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এবারের পুজো ছোট করে আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে চেষ্টা করছেন প্যান্ডেলের ঢোকার মুখে মাস্ক হাতে স্যানিটাইজেশন সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লোকনাথ বাবার পুজোর আয়োজন করছেন ভক্তরা । এখানে উপস্থিত ছিলেন ধুপগুড়ির ১১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর অর্পিতা ঘোষ , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ধুপগুড়ির পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং, ধুপগুড়ির নব নির্বাচিত বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার ভক্তবৃন্দ।