মালদা : ৪ঠা জুন ২০২১ : শুক্রবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : করোনা সংক্রমনের মধ্যে কেন্দ্র সরকারের অধীনে কাজ করা বহু শ্রমিকেরা এখনো তাদের পারিশ্রমিক পান নি। এরকম দেশে ১৪ কোটি শ্রমিক রয়েছে যারা করোনাকালে কাজ করেও টাকা পান নি। এব্যাপারে দেশজুড়ে আন্দোলন সংঘটিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে করোনা সংক্রমনের মধ্যে লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের সমস্যার বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্য তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক সুনীল সরকার। এদিন বৈষ্ণবনগর থানার আঠারো মাইল এলাকার টোল প্লাজা সংলগ্ন ওই সংগঠনের কার্যালয়ে এই সাংবাদিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সুনীলবাবু ছাড়াও সংগঠনের অন্যান্য কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দাবি তোলা হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে করোণা সংকটের মধ্যে অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অব ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের অধীনে থাকা শ্রমিক ও তাদের পরিবারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এব্যাপারে বিশেষ করে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক সুনীল সরকার বলেন , ২০২০ সাল থেকে করোনা সংক্রমনের জন্য এরাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক বিভিন্নভাবে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছিলেন না। সেক্ষেত্রে গত বছর থেকে এখনো পর্যন্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা খরচ করে ওইসব শ্রমিকদের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় অধীনস্থ সংস্থা এইচসিসি। কিন্তু এর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্তরের শ্রমিকেরা এখনো তাদের পারিশ্রমিক পান নি। এরকম ১৪ কোটি শ্রমিক রয়েছেন। কেন্দ্র সরকারকে এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। রাজ্য তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য সুনীল সরকার এদিন কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন , কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সাত বছরে ১৩ কোটি শ্রমিক বিভিন্ন সংস্থার কাজ থেকে ছাঁটাই হয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। অথচ বিধানসভা নির্বাচন পেরিয়ে যেতে তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতে ব্যাস্ত মোদি সরকার। সুনীল বাবু আরও বলেন, কেন্দ্রের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থাগুলি রয়েছে যেখানে অসংখ্য শ্রমিক কাজ করে। তাদের পরিবারগুলিকে ভ্যাকসিন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা করে নি কেন্দ্র সরকার । অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দ্রুত যাতে সমস্ত শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় সেকথাও আমরা দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও সর্বদলীয় বৈঠক করা উচিত কেন্দ্র সরকারের। কিন্তু এনিয়ে মাথাব্যাথা নেই মোদি সরকারের। খুব শীঘ্রই এখনো যে সব জায়গায় শ্রমিকেরা তাদের পারিশ্রমিক পান নি। সে ব্যাপারে খুব শীঘ্রই সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন সংগঠিত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।