জলপাইগুড়ি : ধুপগুড়ি : ৯ই জুন ২০২১ : বুধবার : অবশেষে ধূপগুড়ি শহরে স্যানিটাইজ কামান এসে পৌঁছালো ধূপগুড়ি পুরসভায়। শহরে যে ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তিত প্রশাসন। রেড জোন ঘোষণার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে শহরে। এছাড়াও ধুপগুড়ি শহরে মার্কেটের ছবিটি অনেকটা আঁতকে ওঠার মতোই। দেখা যায় অনেকের মুখেও মাস্ক নেই, কেনাকাটার হুড়োহুড়িতে উধাও দূরত্ব-বিধি। অথচ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই ধূপগুড়িতেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা দু-হাজার ছড়িয়ে গেছে। পুর এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। গ্রামীণ এলাকা মিলে সংখ্যাটা প্রায় ৪০ জন। এই পরিস্থিতি দেখে করোনাকে আটকাতে ধূপগুড়ি গোটা শহরকে স্যানিটাইজ করতে শিলিগুড়ি থেকে আনা হয়েছে জীবাণুনাশক কামান। আর সেই কারণেই ভাইরাসকে রুখতে গোটা শহরকে স্যানিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধুপগুড়ি শহরবাসীরা ।
শিলিগুড়ি থেকে আনা হয়েছে বিশেষ কামান। ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং এই স্যানিটাইজার কামান পাঠানোর জন্য আবেদন করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের প্রশাসক গৌতম দেবের কাছে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই স্যানিটাইজার কামান ধূপগুড়িতে পাঠানো হয়। ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে অবস্থিত অস্থায়ী সেফ হোম এবং শহরের বিভিন্ন পাড়া, ধূপগুড়ি থানা স্যানিটাইজ করা হয়। এই প্রসঙ্গে ধুপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, শহরে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমরা চিন্তিত। এই মুহুর্তে রেড জোন করতে পারলে এটা একটা ভালো পদক্ষেপ হবে। এখনও প্রচুর মানুষ বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশকে বলেছি আপনাদের আরও কঠোর হতে হবে। এছাড়াও ধূপগুড়িতে সে কারণেই রেড জোন ঘোষণার মতো যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা আটকাতে গোটা ধূপগুড়ি শহরজুড়ে স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন হচ্ছে। জীবাণুনাশক কামান শিলিগুড়ি থেকে এনে প্রয়োজনীয় জায়গা স্যানিটাইজিং হবে। এছাড়াও আগামী দিনেও দরকার পড়লে এই কামানের ব্যবহার করা হবে।