জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৩ই জুন ২০২১ : রবিবার : বোনের জামাইকে বাড়িতেই শ্বাসরোধ করে ঘীস নদীর জলে ভাসিয়ে দিলেন মৃতের, স্ত্রীর দাদা। মৃত বোন জামাইয়ের নাম রাজ কুমার ওড়াও (৩৭)। অভিযুক্ত মৃতের স্ত্রীর দাদার নাম অনিল ওড়াও (৪৫)। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি বাবুজোত এলাকার ঘটনা। মালবাজার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
মৃতের স্ত্রী বিপ্তি ওড়াও (২৭) বলেন, আমার স্বামী (মৃত রাজকুমার ওড়াও) প্রতিদিন মদ্যপান করে এসে অশান্তি করতো। আমাকে এবং ছেলে মেয়েকে মারধর করতো। আমরা খুব অশান্তিতে ছিলাম। শনিবার রাতেও মদ্যপান করে এসে আমাকে এবং মেয়েকে মারধর করে। দাদা অনেক বোঝায় আমার স্বামীকে কিন্তু কোন ভাবেই বুঝছিলো না স্বামী। এরপর দাদা ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীর গলায় গেঞ্জি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। এরপর রাতেই মৃতদেহ, বাড়ির পাশে ঘীস নদীতে ফেলে দেয়। আমার দাদাকে যেন পুলিশ ক্ষমা করে দেয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ধর্মু এক্কা বলেন, রবিবার সকালে স্থানীয় লোকজন নদীতে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে আমায় খবর দেয়। আমি এরপর মালবাজার পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার খোজখবর করছে। এদিকে মৃতের বাড়িতে গিয়ে, মৃতের স্ত্রী বিপ্তি ওড়াও এর কাছ থেকে মালবাজার পুলিশ জানতে পারে, এই খুন করেছে, বিপ্তি ওড়াও এর দাদা অনিল ওড়াও।
এই খবর পেয়ে পুলিশ অনিল ওড়াও এর বাড়ি যায়। আর সেখানে বিরল দৃশ্য দেখা গেল। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি যখন পৌছুলো, তখন অভিযুক্ত ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাস করছে। পুলিশ কে দেখে, অভিযুক্ত বলল, আপনারা একটু দারান, আমি হাত মুখ ধুয়ে স্নান করে তৈরি হচ্ছি। এরপর পুলিশের সামনেই অভিযুক্ত সাবান দিয়ে স্নান করে, তুলসি গাছে পুজো করে। এরপর পরিস্কার জামা কাপড় পড়ে পরিবারের লোকজনকে সান্তনা দিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে বসে। সেই কারনে পুলিশ কে অভিযুক্তকে ধরতে বেগ পেতে হয় নি। মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা জানিয়েছেন, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, একজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিন মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠিয়েছে পুলিশ।