জলপাইগুড়ি : ১৫ই জুন ২০২১ : মঙ্গলবার : জলপাইগুড়িতে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে। এমনটাই দাবী করোনা মোকাবিলায় জলপাইগুড়ির নোডাল অফিসার সুব্রত গুপ্তের। সোমবার সন্ধায় জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেন তিনি।
বৈঠকে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষী দত্ত, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমেন্দ্র নাথ প্রামানিক, জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সুব্রত গুপ্ত বলেন, জেলায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর করোনা মোকাবিলার সব ধরনের কাজ করছে। তবুও সামান্য কিছু সমস্যা আছে। ওই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় করোনা সংক্রমণ এখনও দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকা, জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া, ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ির কিছু এলাকা রয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি । করোনা সংক্রমণ যদি আবার বেড়ে যায় তাহলে চিকিৎসায় যেন কোনও অসুবিধে না হয় সেই বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পেডিয়াট্রিক ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট খোলা হচ্ছে শিশুদের জন্য। এছাড়াও এইচ ডি ইউ সি সি ইউ সহ শয্যা সংখ্যা বাড়াতেও উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সুব্রত গুপ্ত বলেন, জেলায় শীঘ্রই আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য ভিডিআরএল ল্যাবরেটরি চালু করা হচ্ছে। অক্সিজেন প্লান্টও শীঘ্রই চালু করা হবে। জেলায় টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও জলপাইগুড়ি জেলায় ভালো সাফল্য মিলেছে। নতুন করে প্রতিষেধক টিকা আসছে।