জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৬ই জুন ২০২১ : বুধবার : স্থানীয় ফার্মার্স ক্লাবের মাধ্যমে শুয়োর প্রতিপালনের জন্য সরকারী লোন করে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই টাকা ফেরতের দাবিতে এক বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন প্রতারিতরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ধর্নাকারীদের অভিযোগ, খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রথীন আচার্জী, আশু মোদক ও অরুণ রায় ৪ বছর আগে তাদের কাছ থেকে শুয়োর লোন করে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিল। অভিযুক্তরা বাশিলাডাঙ্গা ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন বলে জানা যায়। এখন তারা বিজেপি দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। কিন্তু ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কোনো লোন পাননি। তাদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছিল সেটাও ওই তিন ব্যক্তি মিলিত ভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য তারা বারবার অভিযুক্তদের দ্বারস্থ হলেও টাকা ফেরত পাননি। তাই তারা এদিন বিজেপির ময়নাগুড়ি উত্তর মন্ডল সভাপতি তথা বাশিলাডাঙ্গা ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি রথীন আচার্জীর বাড়ির সামনে টাকা ফেরতের দাবীতে ধর্নায় বসেন।
ধর্নায় বসা কৃষ্ণ রায় বসু বলেন, শুয়োর প্রতিপালনের জন্য লোন করে দেওয়ার নাম করে আমার কাছে তারা ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। লোন পাইনি, বরং তারা আমার আসল টাকা আত্মসাত করেছে। তাই টাকা ফেরতের দাবীতে আজকে ধর্নায় বসেছি। অভিযুক্তদের নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় প্রধান বাবলু রায় বলেন, যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা গরীব কৃষক। তারা বিষয়টি আমাকে আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। তারা পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কাছে টাকা দেওয়ার প্রমাণ ছিল না। তাই তারা আজকে ধর্নায় বসেছেন। খাগড়াবাড়ি-২ ফার্মাস ক্লাবের সভাপতি রথীন আচার্জী বলেন, আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরকম কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। সরকারী যে সমস্ত অনুদান চাষিদের জন্য আসে সে গুলিই তাদের মধ্যে বিলি করা হয়।