মালদা : ১৮ই জুন ২০২১ : শুক্রবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : লকডাউন এর মধ্যেও মালদায় ঝুড়ি বাধার কাজ রমরমিয়ে চললেও দাম পাচ্ছেন না কারিগররা। মালদা জেলার বিখ্যাত আম এর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ঝুড়ি শিল্প। এই শিল্প আগে প্রায় এলাকায় দেখা যেত এখন সেরকম আর দেখা যায় না।
তবে মানিকচকের শেখপুরা গ্রামে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ ঘর এই ঝুড়ি শিল্পের সাথে যুক্ত। এই শেখপুরা অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাস। তবে এখন লড়াইটা হয়েছে কঠিন। একটা বাশ কিনতে খরচ পরে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা তা থেকে ঝুড়ি তৈরি হয় তিন থেকে চারটি। তার সাথে শ্রমিকদের খরচ। একটি ঝুড়ি তৈরি করতে ধাপে ধাপে করা হয় কাজ। ৩ জন শ্রমিক লাগে একটি ঝুড়ি তৈরি পিছনে। সারাদিন কাজ করার পর ১০ থেকে ১২ টি ঝুড়ি তৈরি করতে পারে। বাঁশ কাটা, বাতি তৈরি করা, তাকে ছোট ছোট টুকরো তে আনা, রিং বোনা ও সর্বশেষ ঝুড়ি তে রূপান্তরিত করা। একজন শ্রমিক দৈনিক দেড়শ থেকে দুইশ টাকার পান।
এই ব্যাপারে একজন পাইকারের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানা গেল, বর্তমানে প্লাস্টিকের বাক্স আসাতে বাসের ঝুড়ির চাহিদা কমেছে। বর্তমানে আম প্যাকিং এর ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বাক্স ব্যবহার করছেন আম চাষিরা। ফলে তাদের আর ঝুড়ি কিনতে হচ্ছে না। এর বড় কারন খুব সহজেই ভাড়া হিসেবে পেয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিকের ঝুড়ি। ব্যবসার শেষে তা ফেরত দেওয়া যাচ্ছে সহজে। অন্যদিকে অন্য একজন ঝুড়ি শিল্পী জানালেন প্লাস্টিকের বাক্সে সর্বমোট কুঁড়ি কেজি আম প্যাকিং হতে পারে, দাম পড়ে প্রায় 40 থেকে 50 টাকা কিন্তু অপর দিকে বাসের ঝুড়ির খরচ 90 থেকে 100 টাকা তাতে আম 60 কেজির কাছাকাছি প্যাকিং করা যায়। আগে যে রকম চাহিদা ছিল বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। তবুও প্লাস্টিকের ক্যারেট এর সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা বুনে চলেছি ঝুড়ি। এটাই আমাদের রুজিরুটি, এটা করেই আমরা সংসার চালাই।