জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯শে জুন ২০২১ : শনিবার : গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা ময়নাগুড়ি। আর সেই নির্যাতিতা গৃহবধূর বাড়িতে গেলেন ময়নাগুড়ি ব্লক আইনি সহায়করা। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ময়নাগুড়ি ব্লক আইনি সহায়করা এদিন তাদের বাড়ি পৌছে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
গত বুধবার ময়নাগুড়ির আমগুড়ির বেতগাড়া এলাকায় এক গৃহবধূর চুল কেটে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করেন বেশ কিছু গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার তার স্বামী ময়নাগুড়ি থানায় গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী এলাকায় যায়। সেখানেই হাতে নাতে সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও অধরা চারজন অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধেও লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্ত সাতজনকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়। আর সেখানে তিনজন মহিলার বেল হয় তাদের ছোট শিশু সন্তান থাকার কারনে এবং বাকি চারজন পুরুষের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতা গৃহবধূ এবং তাদের পরিবার কোনো রকম সমস্যায় রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে তাদের বাড়িতে যান জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের আইনি সহায়করা। শনিবার ময়নাগুড়ি ব্লকের আইনি সহায়ক রঞ্জন রায়, অমিত রায় পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এই ধরণের বর্বর ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই বিষয়েও বার্তা দেন তারা। নির্যাতিতা মহিলার স্বামী বলেন, আমি এবং আমার পরিবার, দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। যে দিন তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যায় সেদিন আমাদের হুমকি দেয় অনেকে। আমাদের এও বলে তারা জামিন নিয়ে এসে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়।
আমগুড়ি ও রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আইনি সহায়ক রঞ্জন রায় বলেন, পরিবারটির সাথে কথা বললাম আমরা। কোনো রকম সমস্যা হলে আমরা তাদের পাশে আছি। আপাতত কোনো রকম সমস্যা নেই বলেই আমাদের জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।