মালদা : ২০শে জুন ২০২১ : রবিবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : কালিয়াচক কান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের পরে দাদাকে টাকার টোপ আসিফের। মুখ খুললে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি। ২০ হাজার টাকা দিয়ে দাদাকে কোলকাতায় পাঠায় মামার বাড়িতে। এমনকি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দাদাকে। মামার কাছ থেকে ১লক্ষ ১০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আসিফ। মার্চ মাসে রাহুলকে নিয়ে কালিয়াচক থানায় পুলিশের দারস্ত হয় মামা। হ্যাকার সন্দেহে পুলিশী জেরার পর কিছুদিন পালিয়ে ছিল আসিফ। ১৪ই জুন ফোনে টাকা ফিরিয়ে দিতে বলায় মামার সাথে বচসা হয় আরিফের। এরপর দাদা রহুলকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে মামা। অবশেষে ১৮ই জুন কালয়াচক থানায় খুনের সমস্ত ঘটনা জানায় রাহুল। আজ আসিফ সহ দুই বন্ধুকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়।
এই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আসিফ তার বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমা এই চার জনকে খুন করে বাড়ির একটি গোডাউন ঘরে পুঁতে রাখে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোলিত দেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ প্রশাসন। এরপর আসিফকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে কিছু আগ্নেয়াশ্র তার বন্ধুদের কাছে গচ্ছিত রাখে। আসিফের কথার ভিত্তিতে দুই বন্ধু মহম্মদ মারুফ ও সাবির আলির বাড়ি তল্লাসি করে পাঁচটি পিস্তল সহ দশটা ম্যাগাজিন এবং আশি রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। মহম্মদ মারুফ ও সাবির আলিকেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। রবিবার তিন জনকে আদালতে তোলা হয়। আসিফকে ১২ দিনের রিমান্ডে নেবার জন্য আগেই আবেদন করা হয়েছে, মহম্মদ মারুফ ও সাবির আলিকেও রিমান্ডে নেবার জন্য আবেদন করা হবে আদালতে। প্রাথমিক ভাবে আসিফ এর বিরুদ্ধে খুনের মামলা আগেই রুজু করা হয়েছে। তবে এই বেয়াইনী আগ্নেয়াশ্র রাখার জন্য আসিফ সহ তার দুই বন্ধু মহম্মদ মারুফ ও সাবির আলির বিরুদ্ধে আলাদা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসিফের কাছ থেকে যে সমস্ত কমিউটার ও ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু ইলেট্রনিক্স গ্যাজেট পুলিশ উদ্ধার করেছে সেগুলি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে খুনের তদন্ত করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।