মালদা : ২২শে জুন ২০২১ : মঙ্গলবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : কালিয়াচকে একই পরিবারের চার জনের নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করলো পুলিশ ও সিআইডি কর্তারা। মঙ্গলবার বিকালে কালিয়াচকের ১৬ মাইল এলাকার গ্রামে ওই বাড়িতে মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদকে পুননির্মাণের জন্য নিয়ে যায় তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিষ সরকার, ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ, কালিয়াচক থানার আইসি মদন মোহন রায় সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য পদস্থ কর্তারা।
খুন হয়ে যাওয়া চারজনের মডেল তৈরি করা হয়। এমনকি সেই মডেলগুলো কেও পোশাকে আবদ্ধ করে নিয়ে আসা হয় গুরুটোলা গ্রামের বাড়িতে। এরপর ধৃত আসিফ মহম্মদকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযোগকারী আসিফ মোহাম্মদের দাদা রাহুল শেখ ওরফে আনিসকে সঙ্গে নিয়ে আসে পুলিশ। কিভাবে বাবা, মা, নাবালিকা বোন এবং বৃদ্ধা ঠাকুমাকে ধৃত আসিফ মহম্মদ খুন করেছিল, তার আগে কি ভাবে মাদক দ্রব্য তাদেরকে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে ছিল সবটাই নাটকীয় মাধ্যমেই পুলিশ তদন্ত করে দেখে। জাওয়াদ আলী সহ তার স্ত্রী, নাবালিকা মেয়ে এবং বৃদ্ধার পোশাক পড়ানো কুশপুত্তলিকা তৈরি করা হয়। সেই কুশপুত্তলিকা গুলিকে মডেল আকৃতির তৈরি করে করেই চলে খুনের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
যদিও মঙ্গলবার কালিয়াচকের চার জনকে খুনের ঘটনার পুননির্মাণ করার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। কিন্তু বিকেল গড়াতেই জেলা পুলিশ ও সিআইডি কর্তারা আচমকাই ধৃতকে নিয়েই পুনর্নির্মাণ গঠনের তদারকিতে কালিয়াচকের ১৬ মাইল এলাকায় বাড়িতে যান। এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে আশেপাশের বাসিন্দারা ব্যাপক ভিড় করে সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা এলাকায় নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও ওই বাড়ির ভিতরে তদন্তের স্বার্থে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি। প্রায় ঘণ্টখানেক ধরে চলে এই খুনের পুননির্মাণের অন্তর তদন্ত।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এদিন কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়েছে। ধৃত আসিফ মহম্মদ ছাড়াও তার দাদা রাহুল শেখ ওরফে আরিফ কেও নিয়ে আসা হয়েছিল।