মালদা : ২৩শে জুন ২০২১ : বুধবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : এক লক্ষ টাকা পণের দাবীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ফাঁসে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঠানপাড়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী ফতে খানকে গ্রেফতার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। তবে পুলিশি অভিযানের আগাম আঁচ পেয়ে শশুর বাড়ির অন্যান্য অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম সামনা খান (২৫)। তার বাড়িও মানিকচকের পাঠানপাড়া এলাকায়। গত পাঁচ বছর আগে সম্বন্ধ করে প্রতিবেশী যুবক ফতে খানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সামনা খানের। তাদের একটি নাবালক পুত্র সন্তান রয়েছে। পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রী ফতে খান বেশ কিছুদিন ধরে তার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবার রাতে সামনা খানকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ব্যাপক মারধর করে । পরে ওই গৃহবধূর বাড়ি থেকে রহস্যজনক অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত গৃহবধূর বাবা আমজাদ খান পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, মেয়ের বিয়ের সময় তিন লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস ধরে জামাই ফতে খান আরো এক লক্ষ টাকার জন্য মেয়েকে চাপ দিচ্ছিল। তাকে মারধোর করা হতো। নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। মঙ্গলবার রাতে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাড়া-প্রতিবেশীদের মুখ থেকে জানতে পারি। এরপরই পুলিশকে পুরো ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। মেয়ে সামনা খানকে জামাই ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা শ্বাসরোধ করে খুন করার পর শোবার ঘরের সিলিং-এ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মৃত গৃহবধূর স্বামী ফতে খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।