জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৪শে জুন ২০২১ : বৃহস্পতিবার : সামসিং পাহাড়ের নীচে মেটেলীর বাসিন্দা কনিকা সরকার। কাজ করতেন পাহাড়ের কোন এক হোটেলে। কিন্তু সেই কাজ দুই বছর ধরে বন্ধ। লকডাউনের প্রভাবে পর্যটক না আসায় সেই কাজ এখন আর নেই। বাধ্য হয়ে পাহাড়ের বাস ছেড়ে মালবাজার মহকুমার মেটেলীতে বাড়িতে চলে আসে সে। কিন্তু বাপের বাড়িতে বসে বসে কতদিন চলবে। কিছু না করতে পারলে তো বেঁচে থাকা মুস্কিল হবে। অন্য পেশায় কাজ করতে অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছে সে। কিন্তু বিফল সব। শেষমেষ এলাকারই মেকআপ আর্টিস্ট সুদীপ দেবের শরনাপন্ন হয় কনিকা। কিছু একটা কাজের যোগাড় করে দেবার কথা বলে সে।
কনিকা বলল, আমাকে কিছুক্ষন দেখে সুদীপ দেব বলেন তুমি মা কালীর রোল করতে পারবে? আমার গায়ের রং শ্যামা। তাই দেখে এই প্রস্তাব আমায় দেয় মেকাপ আর্টিস্ট সুদীপ দেব। খাওয়া ও অন্নসংস্থানের কথা ভেবে রাজি হয়ে যায় কনিকা সরকার। এরপর আরম্ভ হয় মা কালীর মেকআপ। শক্তির আরাধনা সুটিং-এ নেমে পড়ে কনিকা। মা কালী সেজে তাক লাগিয়ে দেয় সবাইকে। হোটেল কর্মী কনিকা এবার মা কালীর বেশে বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করছে। মেকআপ
আর্টিস্ট সুদীপ দেব বলেন, আমি নিজেও বুঝতে পারিনি কনিকা মা কালীর রোল এত ভালভাবে করতে পারবে। তার এই রোল দেখে অনেকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কনিকাকে। এতটা নিখুত অভিনয় হবে তা ভাবতে পারে নি কনিকাও। সুদীপ দেব বলেন, ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় শক্তি দেবী কালীর পূজা হয়। তাই কনিকাকে প্রস্তাব দিই। নিজেই বুঝতে পারিনি এত অসাধারন অভিনয় করতে পারবে হোটেল কর্মী কনিকা সরকার। ওর অভিনয় প্রতিভার এত স্বচ্ছ এত সাবলীল অবাক হয়ে যেতে হয়। এক একটি অভিনয়ে কনিকা ২ থেকে তিন হাজার টাকা পায় মে-কাপ আর্টিস্ট এর কাছ থেকে। তা দিয়ে সংসার চলে যায়৷ মে-কাপ আর্টিস্ট এই সব ভিডিও বিভিন্ন সাইডে প্রচার চালাচ্ছে, তাতে নিজেরও রোজগার হচ্ছে।