জলপাইগুড়ি : নাগ্রাকাটা-মালবাজার : ২৫শে জুন ২০২১ : শুক্রবার : প্রতিদিন হচ্ছে বৃষ্টি। আর সেই কারনে জঙ্গল এবং নিচু এলাকায় জমা হচ্ছে বৃষ্টির জল। আর এতেই উপদ্রব বাড়ছে সাপের। মালবাজার মহকুমা জুড়ে লোকালয়ে তাই প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে বিষধর এবং নির্বিষ সাপ। নাগ্রাকাটা ব্লকের একই স্থান থেকে দুইটি সাপ উদ্ধার করেন সৈয়দ আব্দুল নঈম বাবুন। দুটি সাপই দারাস। অন্য দিকে বাবুন জানান, যে চেংমারী চা বাগানের রোহিত আগরওয়াল কাছ থেকে খবর পেয়ে সাপ উদ্ধার করতে ঐবাগানে যাই। কয়েক ঘন্টা পরিশ্রমের পর রোহিতের ঘরের বাইরে থেকে রেট স্নেক সাপ উদ্ধার করি। সাপ তিনটিকে খুনিয়া বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন সৈয়দ বাবুন। খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক জানান সাপগুলোর স্বাস্থ পরীক্ষা করার পর গরুমারা জঙলে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে চা বাগানের শ্রমিক মহল্লা থেকে বিশাল আকারের অজগর সাপ উদ্ধার করা হলো। এদিন মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা ৫ নম্বর লাইনের জনৈক মংরা ওঁরাও এর বাড়ির পাশে ওই সাপটি দেখতে পায় এলাকার মানুষ। খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় উপচে পরে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় চালসার সর্প প্রেমী যুবক দিবস রাই কে। দিবস এসে সাপটি উদ্ধার করে বস্তাবন্দী করে নিয়ে যায়। সাপটি সুস্থ থাকলে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে দিবস জানায়।
পাশাপাশি মালবাজার শহরের গুরুদুয়ারা এলাকার এক বাড়ি থেকে একটি কপার হেডেড ট্রিনকেট প্রজাতির সাপ উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দিল পরিবেশ প্রেমী স্বরুপ মিত্র। জানাগেছে, ক্যাল্টেক্স মোরে গুরুদুয়ারা এলাকার এক বাড়িতে সুদীর্ঘ রংবেরঙের সাপটিকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। সাপটি একটি পাইপের মধ্য পেচিয়ে ছিল। বিরাট লম্বা সাপ দেখে বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতংক তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মাল মাউন্টেন ট্রেকার ফাউন্ডেশন নামের পরিবেশ প্রেমী সংস্থার সম্পাদক স্বরুপ মিত্র। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টার পর শ্রী মিত্র সাপটিকে উদ্ধার করে বস্তাবন্দি করেন। পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।