জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৫শে জুন ২০২১ : শুক্রবার : করোনা কালে ঘরে আবদ্ধ থেকে মানসিক ভাবে দুর্বল হচ্ছে মানুষ। তাই মন ভালো করতে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে বড়া মঞ্জিং এ। কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা এই এলাকা। কুয়াশা সরলেই দেখা মিলবে অপরুপ সৌন্দর্য ডুয়ার্সকে এবং ডুয়ার্সের বুক চিরে চলে যাওয়া বিভিন্ন নদীকে। আর তাতেই মন ভালো হবে ঘুরতে আসা মানুষের। গত কয়েক মাস যাবৎ করোনা ভাইরাসের কারনে রাজ্য জুড়ে চলছে আংশিক লক ডাউন। আর সেই কারনে গৃহবন্দি বহু মানুষ। ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে থাকতে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরছে বহু মানুষ। বিশেষ করে ছেলে মেয়েদের সব থেকে সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই সবারই এক বা দুদিনের জন্য আশেপাশে কোথাও ঘুরে আসা খুব জরুরী। এতে মন এবং শরীর ভালো থাকবে। চিকিৎসকেরা বলেন মন ভালো থাকলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই দু এক দিনের জন্য ঘুরে আসা যেতে পারে কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের বড়া মাঞ্জিং এ।
করোনা মুক্ত এই জায়গায় গেলে মানুষের মন যেমন ভালো হবে, তেমনি ভালো হবে শরীরও। তার মধ্যে বারতি পাওনা প্রাকৃতিক সুন্দর্যে ভরপুর এই বড়া মানঞ্জিং। চার দিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। এই বড়া মাঞ্জিং থেকে চোখ মেললেই দেখা যাবে অপরুপ সুন্দর্য ডুয়ার্সকে। পাশাপাশি এখান থেকে পরিস্কার দেখা যাবে চেল, ঘীস, লীস তিস্তা, মাল নদীগুলোকে। মাঝে মধ্যে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে এই এলাকায়। চোখের নিমিষেই কখনো আবার দেখা যাবে পুরো এলাকা ঢেকে গেছে কুয়াশার চাঁদরে। কখনো আবার হালকা বৃষ্টি, আর তখন খুব ঠান্ডা অনুভব হবে। এই প্রকৃতির যে দুই রুপ তা এখানে এলেই বোঝা যাবে। আর এতে মন – শরীর দুই ভালো হবে।
কিভাবে যাবেন? নিউ মালবাজার থেকে ওদলাবাড়ি -পাথরঝোড়া চাবাগানের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি পথে মাঞ্জিং যাওয়া যাবে। মালবাজার থেকে দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। সরকারী উদ্যোগে সম্পূর্ণ রাস্তাটি ঝা চকচকে। তাই অনাযাসেই প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে পৌছে যাওয়া যাবে এই বড়া মাঞ্জিংএ। এখানেই রয়েছে হোমষ্টে। খুব সুলভ মুল্যে থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থাও রয়েছে। আবার এক দিনেও ঘুরে আসা যেতে পারে এই বড়া মাঞ্জিং এ। এই সময় মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ এই সুন্দর জায়গায় ঘুরতে আসছে। তাদের সকলের কাছে এই নতুন জায়গা খুব ভালো লেগেছে। কেউ কেউ বলছে সরকারী উদ্যোগে এই এলাকাকে আরও ভালো করে সাজিয়ে তোলা যেতে পারে। তাতে সরকারী রাজস্বের পাশাপাশি এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল হবে। নতুন এই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ জায়গা দিন দিন মানুষের কাছে আরোও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।