উত্তরবঙ্গ নিউজ : শিলিগুড়ি : ১৫ই জুলাই ২০২১ : বৃহস্পতিবার : বছর তিনেক আগে, আমবাড়ির যুগুনিডাঙার ভগবতী রায়ের সাথে বিয়ে হয় ফুলবাড়ির মিঠু রায়ের। বিয়ের পর থেকেই ভগবতীর অপর শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে, স্বামী মিঠু রায় সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পরিজনদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, গত সোমবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেস্টা করে ভগবতী। এমনই অভিযোগে সরব হয়ে, গত বুধবার নিউ-জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, ভগবতীর বাবা হেমচরণ রায়। তদন্তে নামে পুলিশ।
শহর শিলিগুড়ির একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, বৃহস্পতিবার মারা যায় ভগবতী। হাসপাতাল চত্বর থেকেই, শ্বশুড়, শাশুড়ি সহ দেওয়রকে আটক করে নিউ-জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বধু নির্যাতন সহ বধু হত্যার মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। এছাড়াও মূল অভিযুক্ত মিঠু রায়ের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মৃতার বাবা হেমচরণ রায় বলেন, বিয়ের পর থেকেই সংসারের অশান্তি শুনতাম। এনিয়ে, শালিশি সভাও হয়েছে। সব মিটমাট হবার পরেও, মেয়ের শশুরবাড়ির সকলে অত্যাচার চালাত। সহ্য না করতে পেরেই হয়তো গায়ে আগুন দিয়েছে হতভাগি। দুই বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। ভগবতীর দিদি কুন্তি রায় বলেন, সব কিছু সহ্য করেও মাথা গুঁজে ছিল ঐ বাড়িতে। ও নিজে গায়ে আগুন দিতে পারে না বলেও সন্দেহ প্রকাশ করে কুন্তিদেবী। তার কথায়, কি হয়েছে? আসল সত্যটা বের করে কঠোর শাস্তি দিক পুলিশ।