উত্তরবঙ্গ নিউজ : শিলিগুড়ি : রবিবার : ২৮শে জুলাই ২০২১ : বুধবার : শিলিগুড়ি পুরনিগম মৃত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের পাশে দাড়ালো। ১৯৯৮ সনে শিলিগুড়ি পুর নিগমের দুজন অস্থায়ী কর্মচারী টোকন সাহা এবং তিলক বাহাদুর ছেত্রী ছোটফাপড়িতে নিহত হন। এই দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে এক হাজার টাকার তুলে দেন পুর প্রশাসক গৌতম দেব। ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক হিংসার জেরে খুন হন উদয় চক্রবর্তী, তার পরিবারের হাতেও আর্থিক সাহায্য তুলে দেন গৌতম দেব।
গৌতম দেব জানান, আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং ব্যথিতও এই মর্মে যে ১৯৯৮ সনে শিলিগুড়ি পুর নিগমের দুজন অস্থায়ী কর্মচারী টোকন সাহা এবং তিলক বাহাদুর ছেত্রী ছোটফাপড়িতে নিহত হন এবং ঐ ঘটনায় আমি নিজেও ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম । পরবর্তীকালে আমরা চেষ্টা করেছি এই দুটি শহীদ পরিবারের আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভালো করার জন্য । টোকন সাহার ছেলেকে সরকারি চাকরিও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কিছু প্রযুক্তিগত কারনে একবছর বেশী চাকরি করতে পারেনি । তিলক বাহাদুর ছেত্রীর পরিবারের চাকরি করার মত কেউ ছিল না । আরেকজন উদয় চক্রবর্তী ১৯৯৪ সালের ১৪ ই মে খুন হন। উদয় চক্রবর্তীর বৃদ্ধা মা শ্রীমতি পুষ্পা চক্রবর্তী কষ্টের সাথে জীবন যাপন করছেন । আমরা এই তিন জন শহীদের পরিবারকে চেয়ারম্যানস্ রিলিফ ফান্ড থেকে কিছু অর্থ সমর্থন দিতে চাই যাতে করে কিছুটা হলেও তাদের জীবনে সুরাহা হয় । সন্ধ্যা সাহা, টোকন সাহার স্ত্রী এবং পম্পা ছেত্রী, তিলক বাহাদুরের স্ত্রী তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা করে যাবে চলতি মাস থেকে। আর উদয় চক্রবর্তীর মায়ের কোন ব্যাঙ্ক একাউন্ট নেই এবং প্রযুক্তিগত কারনে নতুন একাউন্ট্ খোলা যাচ্ছে না তাই তার হাতে তার ঔষধ ও মুদিখানা খরচ বাবদ মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ দেওয়া হবে। এটা আমাদের এই তিন জন শহীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার ।