উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ২০ শে আগষ্ট ২০২১ : শুক্রবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : জলবন্দি এলাকায় পৌঁছে সমস্ত মানুষের শারীরিক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়। নেতৃত্বে ছিলেন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর হেম নারায়ন ঝা। দুর্গত মানুষেরা এই চিকিৎসার পরিসেবা পেয়ে খুশি হলেও সরকারী ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়া নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পরিবারগুলি।
মালদার মানিকচক ব্লকের প্রায় কুড়িটি গ্রাম বর্তমানে জলমগ্ন রয়েছে। গঙ্গা নদীর জল বিপদসীমার ছাড়িয়ে জল ঢুকেছে নদী তীরবর্তী বহু গ্রামে। এই অবস্থায় কার্যত দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মানিকচক, গোপালপুর,ধরমপুর সহ ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জলের তলায় দিন কাটছে ।বহু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে ত্রিপলের নীচে আশ্রয় নিয়ে চালাচ্ছে জীবন যুদ্ধ। শুক্রবার মানিকচক অঞ্চলের গঙ্গার জলে প্লাবিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সাথে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছান মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ হেম নারায়ণ ঝা। সকল মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি সরকারী ভাবে ওষুধ বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্যপরিসেবা পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ রয়েছে বন্যা কবলিত মানুষদের। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনো রকম খাদ্যসামগ্রীর সহযোগিতা পৌঁছয়নি দুর্গত মানুষদের জন্য। বেশকিছু ত্রিপল রাতের অন্ধকারে বিলি করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে তাও আবার পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে দিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর যে ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এগিয়ে এসেছে তার প্রশংসা করেছে সকল মানুষ।
এ প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ হেম নারায়ণ ঝা জানান, বহু পরিবার জলের তলায় রয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানের কোন ক্রমে ত্রিপল এর নিচে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি। জলে প্লাবিত থাকায় এলাকায় জ্বর সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন রোগের দেখা মিলেছে। তবে বড় ধরনের কোনো রোগ বা ডায়রিয়ার মতো রোগের এখনো দেখা নেই। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফের সকল স্তরের কর্মীদের হাই এলার্ট করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তর পরিষেবা দিতে তৎপর রয়েছে। আগামী দিনে ভুতনি এলাকার মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হবে স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফে। লক্ষ, কোন রকম ভাবে কোনো রোগ না ছড়ায়।