উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৪ শে আগষ্ট ২০২১ : মঙ্গলবার : ডিওয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির মুখোপত্র যুবশক্তি ৫৪ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ময়নাগুড়ি ধর্মশালা কক্ষে জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক আলোচনা সভা। এই সভায় বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী সংগ্রামে আমাদের ঐতিহ্য ও আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি এই বিষয়ে আলোচনা করেন প্রাক্তন যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব জ্যোতি প্রকাশ ঘোষ, উদারনীতির তিন দশক ও বামপন্থী যুব আন্দোলন এ বিষয়ে আলোচনা করেন ডিওয়াইএফআই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি নুর আলম, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত যুবশক্তির সম্পাদক শুভেন্দু সাহা।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক যুব আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সভায় প্রাক্তন যুব আন্দোলন নেতৃত্ব জ্যোতিপ্রকাশ বলেন বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী আন্দোলনের জলপাইগুড়ি জেলায় ১৯ জন কমরেড শহীদদের মৃত্যুবরণ করেছেন আজকের দিনের সাম্প্রদায়িক বিজেপি বাংলা ভাগের কথা বলে নতুন করে উত্তরবঙ্গ অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। আমাদের নিতাই দাস, সুভাষ সরকার, গোপাল গোপাল চাকি; সহ সব প্রাক্তন যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব যারা বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের পথকে পাথেয় করে আমাদের যুবদের মধ্যে সরকার যে চাকরি কর্মসংস্থান এর বন্দোবস্ত না করে মানুষে মানুষে বিভেদ এর রাজনীতির বীজ বপন করছে তাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। ডিওয়াইএফআই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য্য বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম উদারনৈতিক বাদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা সহজভাবে এখনকার যুব সমাজের মধ্যে নিয়ে যেতে হবে ২০০৪ সালে বিজেপির উদারনৈতিক নীতি, দেশ বিক্রির চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রথম ইউপিএ সরকার গঠনের লক্ষ্যে মানুষ সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বামপন্থীদের ৬১টি আসনে জয়যুক্ত করে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছিল। আর সেদিন থেকেই বামপন্থীদের শক্তি যাতে হার বৃদ্ধি পেতে না পারে যাতে ভারতবর্ষের সরকারের চালিকাশক্তি বামপন্থীরা হয়ে উঠতে না পারে সেই লক্ষ্যে সেদিন থেকেই বামপন্থীদের শক্তি খর্ব করার চক্রান্ত রচিত হয়েছিল। তার পরবর্তীতেও পশ্চিমবঙ্গের ২০০৬ সালের বামফ্রন্টের বিপুল জয় উদার নীতির পৃষ্ঠপোষকদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তার পরবর্তী ইতিহাস বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত সিঙ্গুর,নন্দীগ্রাম পরবর্তী অধ্যায়ে সকলেরই জানা ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে একসাথে বহু নতুন বাংলা মিডিয়া চ্যানেল চালু হয়েছিল যাদের একমাত্র কাজ ছিল বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে কুৎসা করা। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের পর অনেক চ্যানেল তাদের পাততাড়ি গুটিয়ে নেয়। সেই চক্রান্ত আজও অব্যাহত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট শূণ্য কিন্তু আমাদের মতাদর্শ আমাদের সংগঠনকে শূণ্য করা যায়নি। আজ উদার নীতির প্রভাব এর ফলেই গোটা দেশের থেকে সরকার স্থায়ী চাকরির ভাবনা তুলে নিচ্ছে। রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে একই ভাবনায় চলছে তাই আমরা পাশাপাশি ডিউটি করতে দেখতে পাই রাস্তায় একজন ট্রাফিক গার্ড তার সঙ্গে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার দুজনের বেতন কাঠামো সুযোগ সুবিধার আসমান-জমিন পার্থক্য থাকলেও দুজনকে একই ডিউটি করতে হচ্ছে। এক বিরাট অংশের যুবক কর্মহীন আর তাদের দিয়েই কোথাও পরিচিতি সত্তার রাজনীতি, আবার কোথাও শাসক দলের পক্ষে অনৈতিক কাজ কর্ম করাচ্ছে শাসক দল। আমাদের কাজ হবে এই ভুল পথে পরিচালিত যুবসমাজকে সঠিক দিশা দেওয়া।