উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ২৫ শে আগষ্ট ২০২১ : বুধবার : অভিযোগ বিনা চিকিৎসায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টারকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ। বিক্ষোভে হাতাহাতিতে গড়ায়। বিনা চিকিৎসায় কোভিড আক্রান্ত আদিবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিড়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ালো জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। জলপাইগুড়ি জয়পুর চা বাগানের বাসিন্দা সমীর মুন্ডা নামে বছর ১৮ এর এক যুবক জ্বরে আক্রান্ত ছিলো। বুধবার ভোর ৫ টা নাগাদ তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার কোভিড টেস্ট করালে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অভিযোগ তখন থেকে সকাল নটা পর্যন্ত টানা ৪ ঘন্টা ধরে তাকে পাশেই কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এম্বুলেন্স ডেকে রোগীকে বিনা চিকিৎসায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়। এরপর সকাল ৯ টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চা বাগান থেকে ছুটে আসতে থাকে শ্রমিক পরিবারের লোকেরা ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্যরা।
এরপর তারা হাসপাতালে হাসপাতাল সুপার ও ওএসডি কে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার কুলীন সিনহাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকেরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আটকে রেখেছে ওয়ার্ড মাস্টারকে। বিক্ষোভ কারীদের ভিড়ে জরুরী বিভাগের পথ একপ্রকার বন্ধ ছিল অনেক্ষন। এরপর ঘটনাস্থলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌছয়। এই ঘটনায় ওয়ার্ড মাস্টার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। করোনা আক্রান্ত যুবকের মৃতদেহ প্রায় সাত ঘন্টা ধরে পড়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বারান্দায়। আতঙ্কিত হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কখন মৃতদেহ সরানো হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
অভিযোগ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে যুবক সমীর মুন্ডার। ১৮ বছরের যুবকের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছেন বাগানের চা শ্রমিকেরা। এই ঘটনায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক হাসপাতালে এম্বুলেন্স পরিসেবা নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন এম্বুলেন্স আসতে কিছুক্ষণ দেরী হয়েছে। কিন্তু রোগীর দেহে অক্সিজেন লেভেল কম ছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ওএসডি ডাক্তার সুশান্ত রায়, হাসপাতাল সুপার সহ হাসপাতালে অন্যান্য কর্মীদের অভিযুক্ত করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরেও অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা যায়।