উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩১ শে আগষ্ট ২০২১ : মঙ্গলবার : বর্ষার সময় ডুয়ার্সের সব নদী থেকে বালি পাথর তোলা বন্ধ করেছে প্রশাসন। তা ছাড়া নদী থেকে বালি-পাথর লুঠ রুখতে রাজ্য সরকার নয়া নীতি নিয়েছে। নিলামের রাশ জেলা শাসককের হাত থেকে নিয়ে ওয়েষ্ট বেঙ্গল মাইনিং ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। তবে তাতেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ডুয়ার্সের একাধিক নদীকে কেন্দ্র করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ফুলে ফেপে উঠছে বেয়াইনি এই কারবার। ডুয়ার্সের লীস, ঘীস, চেল সহ একাধিক নদী থেকে মাফিয়া রাজ চালিয়ে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে বহু দিন যাবৎ। পাশাপাশি এই সব বেশির ভাগ নদীতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে মিনি ক্যাসার (বালি-পাথর চালনি)। সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সব নদী থেকে ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বালি-পাথর। তারপর জেসিপি দিয়ে নদী ঘুরে বালি পাথর ডাম্পারে লোড করা হচ্ছে। এই কারনেই নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে নদী বাঁধ ভাঙ্গছে। অন্য দিকে বিরাট সরকারী রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
অবশেষে মঙ্গলবার মাল ব্লকের চেল, ঘীস, লীস নদীতে অভিযান চালালো প্রশাসন। সকাল থেকে মালবাজার মহকুমা শাসক এর নেতৃত্বে চলে নদীতে অভিযান, সঙ্গে ছিলেন মালবাজার পুলিশের এসডিপিও নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং মালবাজার ভুমি ও ভুমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকেরা। বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বালি পাথর বোঝাই ডাম্পার এবং ট্রাক্টর আটক করে প্রশাসন। এছাড়া বিভিন্ন নদীর বুকে গজিয়ে ওঠা মিনি ক্যাসারের চালনি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মালবাজারের মহকুমাশাসক পিয়ুস ভগনরাও শালুঙ্কে বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই অভিযান চলছে। সারাদিন চলবে এই অভিযান। মালবাজারের ভুমি ও ভুমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক জিতি লামা বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল বেশ কিছু নদীতে অবৈধ কারবার চলছে তাই আমাদের এই অভিযান। কিছু গাড়িও ধরা পড়েছে। তা ছাড়া নদীর বুকে যে সব চালনি বসে ছিল, সব খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই অভিযানে ছিলেন মালবাজার এসডিপিও রবীন থাপা, আই সি সুজিত লামা এবং এসডিএলআরও নরবু ইয়ালমো।