উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ৩১ শে আগষ্ট ২০২১ : মঙ্গলবার : ৬১তম খাদ্য শহীদ দিবস উদযাপিত হল জলপাইগুড়ি জেলা সিপিআই(এম) দপ্তর সুবোধ সেন ভবন সহ জেলার বিভিন্ন এরিয়া পার্টি দপ্তর ও বিভিন্ন শাখা এলাকায়। সিপিআইএম সদর পুর্ব এরিয়া দপ্তরে এদিন পতাকা উত্তোলন করেন পার্টি নেতা শক্তি গোস্বামী ১৯৫৯ এর খাদ্যের দাবিতে ভুখা মিছিলে পুলিশের নির্মম লাঠি চালনার ঘটনা ও পরদিন ছাত্রদের উপর কংগ্রেস সরকারের পুলিশের নির্মম অত্যাচারের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করেন এরিয়া সম্পাদক বিপুল সান্যাল। সদর পশ্চিম এরিয়া দপ্তরে এদিন পতাকা উত্তোলন করেন পার্টি নেতা মানিক দত্ত। ৫৯এর খাদ্য আন্দোলনের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করেন পার্টি নেতা শমিক ভৌমিক।
পার্টির জেলা দপ্তরে বামফ্রন্টের উদ্যোগে ৬১ তম খাদ্য শহীদ দিবস পালিত হয়। এদিন সুবোধ সেন ভবনে ফরওয়ার্ড ব্লক এর পতাকা উত্তোলন করেন সুবর্ণ রুদ্র, সিপিআই দলের পক্ষে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সম্পাদক রনগোপাল ভট্টাচার্য, আর এস পি দলের পক্ষে জেলা সম্পাদক পরিতোষ ঘোষ, সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য। জেলা বামফ্রন্টের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পার্টির বর্ষিয়ান নেতৃত্ব ননীগোপাল মুখুঠি। তিনি বলেন ৫৯ এর খাদ্য আন্দোলনের সময় কলকাতার রাস্তায় মা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে একবাটি ফ্যানের জন্য বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করতো। সে দিনের ভুখা মিছিলে কংগ্রেস সরকারের পুলিশ লাঠি চালিয়ে ৮০ জনকে হত্যা করেছিল ঠিকই কিন্তু সেদিন যে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল সেই আন্দোলনের থেকেই প্রত্যয় নিয়ে পরবর্তীতে যুক্তফ্রন্ট তারও পরে বামফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করে।
কমরেড সলিল আচার্য বলেন, ১৯৫৯ এর খাদ্য আন্দোলনের তাৎপর্য আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নতুন কৃষি আইন এর মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে আবার ভুখা মানুষের আর্তনাদ শোনাতে চাইছে গোটা দেশজুড়ে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যেমন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে উঠছে, তেমনি আজ ৫৯ এর খাদ্য শহীদদের বীরগাথা স্মরণে রেখে আগামীতে আমাদের মানুষের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের যে দাবি সে দাবিকে সামনে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েই আজ গোটা বাংলা জুড়ে খাদ্য শহীদ দিবস পালিত হচ্ছে।