উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২১ : বৃহস্পতিবার : বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির থানার অন্তর্গত নাকা চেকিং ও অন্যান্য বালি খাদানগুলি পরিদর্শন করল জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। অভিযোগ, গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক সামগ্রী পাচারে ময়নাগুড়ি থেকে চাংড়াবান্ধাগামী সার্ক রোডকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। কয়েকমাসের মধ্য ময়নাগুড়ির থানায় এই রকম বহু অভিযোগ সামনে এসেছে। কয়েকমাসের মধ্য ময়নাগুড়ির থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার সহ বিপুল সংখ্যক গাঁজা উদ্ধার করেছে। এমনকি এই রুট দিয়ে মহিলাদের দ্বারা গাঁজা পাচারেও অভিযোগ উঠছে। গত বুধবার ময়নাগুড়ির বিডিও অফিসে সামনে ময়নাগুড়ি থেকে ধূপগুড়িগামী জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং থেকে বাঁচতে একটি কলা বোঝাই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সেই গাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকার মতো অবৈধ ভূটান মদ পাওয়া যায়। জানা গেছে, মূলত আসাম থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা ঢোকে। সে গুলি শ্রীরামপুর বোর্ডার এবং কোচবিহারের দিনহাটার একটি আখড়ায় আসে। কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমার মানসাই নদীর চর সহ বিভিন্ন এলাকায় গাঁজার চাষও হয়। এই এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গাঁজা চাষীদের কাছ থেকে গাঁজা কিনে নিয়ে এই গোপন আস্তানায় নিয়ে আসা হয়। সেগুলি চাংড়াবান্ধা হয়ে বিভিন্ন রুট মারফত নেপাল, ভূটান সহ বিহারে পাচার হয়ে থাকে। মূলত, শিলিগুড়ি পার হতে পারলেই বিপদমুক্ত। মালদা, মুর্শিদাবাদ হয়ে অতি সহজেই বিহারে পাচার করা যায়।
এই অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন সার্করোড সহ ময়নাগুড়ির বিভিন্ন নাকা চেকিং ঘুরে দেখলেন জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার। এছাড়াও দোমহনী এলাকায় নাকা চেকিং এ নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগিয়ে যাতায়াতকারী গাড়িগুলিকে নজরদারি চালানো হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, আমরা কিছুতেই সার্ক রোডকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করতে দেবো না। তবে পাচারকারীরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এছাড়াও এদিন পুলিশ সুপার বিভিন্ন এলাকার অবৈধ বালি খাদানগুলি ঘুরে দেখেন। প্রসঙ্গত, মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষনার পর। অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ময়নাগুড়ির পুলিশ। অভিযানে, বেশ কয়েকটি ট্রাক, ট্রাক্টর সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।