উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ২০২১ : শনিবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : দীর্ঘদিন ধরেই পণের দাবিতে মারধর গৃহবধূকে। সেই নিয়েই শুরু হয় গ্রামে সালিশি সভা। সেই সালিশি সভাতেই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের মারধোরের অভিযোগ উঠল এলাকারই মাতব্বর ও গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মালদা জেলার চাচল থানার ধান গাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াঘাট এলাকায়। আক্রান্তরা হলেন আনসারুল হক বয়স(২৮) বছর ও উমার ফারুক বয়স (৩০) বছর। অভিযুক্তরা হলেন রফিকুল শেখ, নাসির শেখ, বাদশা শেখ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
আক্রান্তরা বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ৯ মাস আগে আনসারুল হকের বোনের বিয়ে হয় বালুমা ঘাট মধ্যতোলা এলাকার বাসিন্দা আনসারুল সেখের সাথে ভালোবাসা করে। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই নিয়ে এর আগে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল সে সালিশি সভাতে ২৫ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছিল তার স্বামীকে। এরপর আবার এক লক্ষ টাকার দাবি করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। না দিতে পারলে মারধর শুরু হয় ওই গৃহবধূকে। এই নিয়ে শুক্রবার গ্রামে একটি সালিশি সভাও বসানো হয়। সে সালিশি সভাতেই গৃহবধূর পরিবারের উপর মারধর শুরু করে গ্রামের মাতব্বর থেকে শুরু করে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দু’জনকেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। এই বিষয়ে চাচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে চাচল থানার পুলিশ।