উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৮ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ : বুধবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : গর্ভবতী মহিলার ডাক শুনে হাজির মেরি সহেলি কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ব্যবস্থা করা হল চিকিৎসক থেকে নার্সদের। মালদা টাউন স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থামতেই তৈরি করা হলো কোচের ভিতরে অস্থায়ী প্রসব ঘর। সেখানেই মা জন্ম দিলেন স্বাভাবিক পুত্র সন্তান। খুশির হাওয়া রেল যাত্রী থেকে আরপিএফ, রেল চিকিৎসক ও কর্মীদের মধ্যে। বর্তমানে মা ও সন্তান মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে চিকিৎসায় রয়েছেন। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।
আরপিএফ সূত্রে জানা যায় আসামের ডালগাঁও থানার অন্তর্গত বড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন আলী ও তার গর্ভবতী স্ত্রী জামিলা খাতুন। ০২৫১০ ডাউন গোহাটি বেঙ্গালুরু স্পেশাল ট্রেনে করে আসাম থেকে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছিলেন। এসি ২ এর বি কোচ এর ১৩ ও ১৪ নম্বর সিট তাদের ছিল। জামিলা খাতুন গর্ভবতী ছিলেন। মালদা টাউন স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার মুহূর্তে তার অস্বাভাবিক প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সাথে সাথেই তারা রেলের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি জানায়। মালদা টাউন স্টেশন ম্যানেজার বিষয়টি শোনামাত্রই আরপিএফ কে বিষয়টি জানায়। আরপিএফ এর মহিলা মেরি সহেলি টিম রেলের ডাক্তার ও নার্সদের সাথে নিয়ে মালদা টাউন স্টেশন এর এক নম্বর প্লাটফর্মে দ্রুত চলে আসে। ট্রেনটি মালদা টাউন স্টেশনে ঢোকামাত্রই ওই মহিলার কাছে পৌঁছে যায়। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে কোচের ভেতরেই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হয়, সেখানে ডাক্তার নার্সদের সহযোগিতায় সন্তান জন্ম দেন জামিলা খাতুন।
বুধবার দুপুরে মালদা টাউন স্টেশন আরপিএফ ইন্সপেক্টর ভি বি শর্মা জানান, কোচের ভেতরেই জামিলা খাতুনের পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেল চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা রাতেই রেলের অ্যাম্বুলেন্স করে মা ও ছেলেকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তারা দু’জনেই ভর্তি রয়েছেন বর্তমানে দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। মেরি সহেলি না থাকলে জীবন বিপন্ন হতে পারত আমার এবং আমার সন্তানের। সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া সদ্যজাত সন্তানের মায়ের।