উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১২ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ : রবিবার : পুজোর মুখে মাল মহকুমায় সাপ্তাহিক হাটে চরম সংকটে পোশাক বিক্রেতারা। গতবছরও করোনার জন্য জেরে চরম আর্থিক সংকট সামলাতে হয়েছিল। এবারও সেই ধারা অব্যাহত। মরার উপর খাঁড়ার ঘা, এদিকে অনলাইন ব্যবসা রমরমা। হাটের পোশাক বিক্রেতাদের সংকট চরমে তুলেছে। ধার-দেনা করে পুজোর পোশাক কিনে ব্যবসায় আশাতে অনেকেই ছিলেন। তারাও এখন হতাশাগ্রস্ত। চরম সমস্যায় ভুগছেন হাট ব্যবসায়ী, কর্মীচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। পুজোর পূর্বে অন্যান্য হাটগুলি কি আদৌ জমবে? আশা-নিরাশার দোলাচলে এখন হাটের সাথে জড়িত সকলেই।
মাল শহরের সাপ্তাহিক হাটের ব্যবসায়ী উৎপল সাহা বলেন, অনলাইন ব্যবসা আমাদের সংকট চরমে তুলেছে। এখন চা বাগানের অনেক ক্রেতারাই অনলাইনে কেনাকাটায় ঝুঁকেছেন। চা বাগানের বাসিন্দারা বলছেন অনলাইনে অর্ডার দিলে আমাদের বাগানেও সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। তাই এখন আর হাটে আসি না। ওদলাবাড়ি ব্যবসায়ী নব রায় বলেন, আমরা ধার দেনা করে পুজোর পূর্বে বিক্রির জন্য সামগ্রী কিনেছি। হাটে দোকান সামলাতে এখনও কর্মচারী রাখছি। কর্মচারীদের বেতন কি ভাবে দেবো, সেটাই ভাবছি। ধারও কি ভাবে শোধ করব, তাই ভেবে কুল পাচ্ছি না। শহরের রামকৃষ্ণ কলোনির বাসিন্দা তথা প্রবীণ হাট ব্যবসায়ী বীরেন্দ্র চন্দ্র বণিক দীর্ঘদিন ধরে মাল হাটে দোকান করেন। বীরেন্দ্র বাবু বলেন, কারোনার জেরে চরম আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ ক্রেতাদের হাতে আর অর্থই নেই। আমাদের দোকানের পোশাক সেভাবে বিক্রিই হচ্ছে না। আর চালসার এক হাট ব্যবসায়ী তপন দাসের কথায় সারাদিনে একটি পোশাক বিক্রি করতে পারি না, হতাশায় ভুগছি। পাইকারী ব্যবসায়ী গোপাল সাহা বলেন, এটা অস্বীকার করলে চলবে না, গত বছরের তুলনায় এবারের সমস্যা অনেকটাই বেশি।
তবু হতাশার মধ্যেও আশার আলো খোঁজেন অনেক ব্যবসায়ী। এক হাট ব্যবসায়ী সমীর ভাওয়াল বলেন, প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে আছি। তবুও আশা করছি শেষ পর্যায়ে পুজোর পূর্বে ব্যবসা জমবে। একই সুর মাল হাট ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তাদের মুখেও। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কমল দত্ত বলেন, আমরা পুজোর পূর্বে শেষ পনেরো দিনের অপেক্ষায় রয়েছি। চা বাগানগুলোতে বোনাস হবে। আমরা আশা করছি শেষ দিকে পুজোর প্রাক লগ্নে ব্যবসা জমবে।