উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ : মঙ্গলবার : প্রাকৃতিক সবুজে ঘেরা পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত চালসার টিয়াবন যুব আবাস। ঝাঁ চকচকে যুব আবাসটি ডুয়ার্স অঞ্চলের পর্যটনের ক্ষেত্রে এক নতুন আলোর দিশা দেখাচ্ছে। এখান থেকে টিয়া পাখির উড়ে যাওয়া, দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যবেক্ষণ করার হাতছানি ভ্রমণ পিপাসুরা উপভোগ করছেন। টিয়াবন যুব আবাসের পাশেই রয়েছে খরিয়ার বন্দর বনাঞ্চল। আসন্ন পুজোর ছুটির দিনগুলিতে ভালো বুকিং রয়েছে বলে যুব আবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। টিয়াবনের মাঠেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত সময়ে কয়েকদফায় এসে সভাও করে গিয়েছেন। পাশেই রয়েছে হেলিপ্যাড।
২০১৮ সালের ৮ ই জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই পথ চলা শুরু হয়েছিলো যুব আবাসটির। মেটেলি ব্লক যুব কল্যাণ আধিকারিক অর্ণব ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এখানে ৭০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত ঘর রয়েছে। এছাড়াও স্বল্পমূল্যের ডর্মিটরিও ব্যবস্থা আছে। রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর ও কনফারেন্স হলেরও ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত অর্ণব বাবু আরও বলেন, আমরা এখানকার ৩৬ টি ঘরে একযোগে ৮৭ জনকে রাখতে পারি। যুব আবাস সূত্রেই জানা গেছে, আউটডোর শুটিং সহ নানা কাজে আবাসটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। রয়েছে অনলাইনের মাধ্যমেও বুকিং এর বন্দোবস্ত। বর্তমানে স্থানীয় যুবক সহিদুল ইসলাম এখানকার ক্যান্টিন পরিচালনা দায়িত্বে রয়েছেন। সহিদুল বলেন, আমরা জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাবারেই জোর দিয়ে থাকি। স্বল্প মূল্যে আমরা খাবার পরিবেশন করি। পর্যটকেরা এসে স্বাচ্ছন্দে খাবার খেতে পারবেন। আর এই যুব আবাস থেকে খুব কাছে মুর্তি, গরুমাড়া, লাটাগুড়ি, চাপরামাড়ি। তা ছাড়া রাতের বেলায় যুব আবাস থেকে অনেক সময় বন্য জন্তুদের দেখা পাওয়া যায়। চালসা রেল স্টেশন থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে এই যুব আবাস। অন্য দিকে নিউ মাল স্টেশন থেকে ১০ কিলোমিটার। সব সময় বাস বা টোটো পাওয়া যায় এই যুব আবাসে আসতে। পুজোর মুখে ইতি মধ্যে অন লাইনে বুকিং শুরু হয়ে গেছে। সমস্ত কিছু মিলিয়ে চালসার টিয়াবনের যুব আবাসটিকে ঘিরে সমগ্র ডুয়ার্সের পর্যটন নতুন আলোর সন্ধানে আলোকিত হতে চলেছে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।