উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ : বুধবার : চার মাসের এক শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ালো বুধবার। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাপ্টাডাঙ্গা এলাকায়। এই মৃত্যুর খবর ছড়াতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমগুড়ি এলাকায়।
ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর মাঝেই গত দুদিন থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জ্বর-সর্দি -র উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে অনেক শিশু। রীতিমতো এই ঘটনা উদ্বেগে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আর তার মাঝেই বুধবার ময়নাগুড়ির আমগুড়িতে এক চার মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গেছে, আমগুড়ির বাসিন্দা কমলেশ রায়ের চার মাসের ছেলে সন্তান কৃপায়ন রায়। গত তিনদিন থেকে সর্দি হয়। এরপর স্থানীয় আশাকর্মী তাকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর কথা বললে মঙ্গলবার তাকে নিয়ে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে দেখে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করে। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে কমলেশ রায় প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তার দেখান। সেখান থেকেও একই ভাবে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন। কিন্তু কমলেশ রায় টাকার অভাবে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়ি নিয়ে আসেন। এই অবস্থায় রাতে শিশুটির অবস্থার অবনতি ঘটলে ভোর রাতে শিশুকে নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের উদ্যেশ্যে রওনা দেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুক্ষন পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মৃত শিশুর বাবা কমলেশ রায় বলেন, তিন-চার দিন থেকে বাচ্চাটার সর্দি ছিল, জ্বর ছিল না। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে রেফার করে দেয়। আর্থিক সমস্যার কারণে সাথে সাথে জলপাইগুড়ি নিয়ে যেতে পারি নি। পরের দিন সকালে নিয়ে গেলে মারা যায়। কি কারণে মারা গেছে আমরা কিছু জানিনা।
এদিকে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে জ্বর-সর্দি উপসর্গ নিয়ে শিশু ভর্তির সংখ্যা দিন-কে-দিন বেড়ে চলেছে। তার মাঝেই ঘটছে শিশু মৃত্যু। এই বিষয়ে ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই। আতঙ্ক কেউ ছড়াবেন না। এখনও পর্যন্ত কোনো ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। আমগুড়িতে যে শিশুটি মারা গেছে তার নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। ফলে কেউ আতঙ্কিত হবেন না।