22.6 C
New York
Sunday, July 27, 2025

Buy now

spot_img

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী, মেলেনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা। পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস তৃণমূল সভাপতির। কটাক্ষ বিজেপির।

উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৪ ঠা অক্টোবর ২০২১ : সোমবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী, অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা। জন-প্রতিনিধিদের জানিয়েও হয়নি কোনো সুরাহা। শেষ সম্বল জমিটুকু বেঁচে দিয়েও হয়নি চিকিৎসার সম্পূর্ণ টাকার যোগার। মেলেনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুফল। অবশেষে স্বামীকে বাঁচাতে দুয়ারে দুয়ারে অর্থ সাহায্য তুলছে স্ত্রী। যদিও ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। পাল্টা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে ‌প্রায় এক বছর ধরে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কতল গ্রামের বাসিন্দা সাবিরুল ইসলাম (৫০)। শেষ ‌সম্বল ছয় কাঠা জমি বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি পরিবারের। তাই স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টায় আর্থিক সাহায্যের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন স্ত্রী দুলেরা খাতুন। এলাকার জন-প্রতিনিধিদের দরবার করেও মিলেনি কোনো সাহায্য বলে আক্ষেপ।

জানা যায় সাবিরুল ইসলাম প্রায় এক বছর ধরে লিভার ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোর নিয়ে গেলেও ডাক্তার বাবুরা দ্রুত অপারেশন করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু অপারেশন করতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে। কোথায় পাবে এতো টাকা? দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবার। প্রতিদিনই তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ লাগে। কিন্তু আর্থিক অভাবের জন্য সেই ওষুধ জোগাড় করতে না পেরে সমস্যায় রয়েছেন গোটা পরিবার। ওষুধের অভাবে দিনের পর দিন কষ্ট বাড়ছে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির।

ক্যান্সারাক্রান্ত সাবিরুল ইসলাম বলেন, এক বছর ধরে লিভার ক্যান্সারে ভুগছি। জমি বিক্রি করে ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসা করিয়েছি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে তারপর কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা হবে না বলে বের করে দেয়। মালদা রায়গঞ্জ কাঠিহার সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করতে খরচ হয়েছে। সরকারী কোন সাহায্য পাচ্ছিনা। আর চিকিৎসা করার ক্ষমতা নেই, খুব খারাপ অবস্থায় আছি। স্ত্রী দুলেরা খাতুন জানান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে কলকাতা চিত্ত রঞ্জন হাসপাতালে গেলেও সেই কার্ড দেখিয়ে কোনো চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ। দরিদ্র পরিবার কোনো ভাবে দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে চলছে। কোনো দিন আবার তাও জোটে না। এখন সমস্যায় পড়েছেন স্বামীর অপারেশনের খরচ জোগাড় করতে। আবার প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োজন। কি ভাবে এতো টাকা জোগাড় হবে।

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস বলেন, এই খবরটি আমরা জানতাম না, জানতে পারলাম, অবশ্যই সাহায্য করা হবে। পরিবারের লোক হয়তো সঠিক ভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। স্থানীয় বিধায়ককেও বলব। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সাহায্যে সাহায্য করার চেষ্টা করব। যে বুথে পরিবারটি বাস করে সেখানে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে।

বিজেপি নেতা রুপেশ আগারওয়াল কটাক্ষের সুরে বলেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ভাওতাবাজি। ভোটের জন্য ভাওতা ছিল। এই সরকারের সবকিছুই ভাওতা। লক্ষীর ভান্ডার এর টাকাও মানুষ ঠিক করে পাবে না। এই দুর্নীতি কাটমানির সরকার বেশিদিন চলবে না। মানুষ এর জবাব দেবে।

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বান বসু বলেন, চিকিৎসা পাচ্ছে না সত্যিই খুবই দুঃখজনক, তবে পরিবারের কাছে শুনবো, পরিবারটি যাতে চিকিৎসা পায় সব রকম ভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা করবে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!