উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৪ ঠা অক্টোবর ২০২১ : সোমবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : পুলিশি হেপাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মোথাবাড়ি এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম বিজয় মণ্ডল (৪৫)। পরিবারের অভিযোগ, দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে বিজয়বাবুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধরে বিজয়বাবুর মৃত্যু হয়েছে। মারধরের খবর পেয়ে সিভিক ভলান্টিয়াররাই তাঁকে বাঁচাতে এলাকায় গিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক-২ ব্লকের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাগমারি এলাকায়। পরিবারের এক আত্মীয় মনোরঞ্জন মন্ডল জানান বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া সে সময় তাদের ছেলে গ্রামের ছেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ডেকে আনলে, কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার বিজয় মন্ডলকে পুলিশ ক্যাম্পে প্রথমে নিয়ে যায় সেখানে গিয়ে তাকে মারধর করে তারপর পুলিশ ক্যাম্প থেকে তাকে মোথাবাড়ি থানার ভিতরে ঢুকিয়েদেয় পুলিশ কর্মীরাও তাকে মারধর করে, সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ বাড়ির লোকদের না জানিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। এদিকে বিজয় মন্ডল এর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিজয় মন্ডল কে ভর্তি করে। সে ক্ষেত্রেও বাড়ির লোককে জানায় নি।
এদিকে সোমবার সকালে গ্রামের মেম্বার এর পক্ষ থেকে পরিবারের লোকেরা জানতে পারে বিজয় মন্ডল মৃত্যু হয়েছে। খবর শোনা মাত্রই পরিবারের লোকেরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ঘরে এসে দেখে বিজয় মন্ডল এর হাত ও পায়ে ভাঙ্গা অবস্থাই তার মুখ ফুলে গেছে। অনুমান তাকে পুলিশ মারধর করার ফলে সে মারা গেছে। পরিবারের তরফ থেকে জানায়, এই বিষয়ে মোথাবাড়ি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করা হবে পাশাপাশি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ও জানানো হবে, প্রয়োজন হলে হাইকোর্ট এর দ্বারস্থ হবো আমরা। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের আমরা শাস্তি চাই।
এদিকে মোথাবাড়ি থানার ওসি মৃণাল চ্যাটার্জী জানান পুলিশের মারধরের অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযুক্ত বিজয় মন্ডল মদ খেয়ে তার বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে মারধর করছিল। তার ছেলে পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আনার জন্য যায়। এদিকে পুলিশে যাওয়ার আগেই স্থানীয় প্রতিবেশীরাই বিজয় মণ্ডলকে মারধর করে। পুলিশ গিয়ে প্রতিবেশীদের হাত থেকে বিজয় মন্ডলকে উদ্ধার করে মোথাবাড়ি থানাতে নিয়ে এলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার মৃত্যু হয়।