উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৩ ই অক্টোবর ২০২১ : বুধবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : চওড়া সুদে প্রায় এক লক্ষ টাকা ধার নিয়ে শুরু করেছিলেন সবজির ব্যবসা। ঠিকমতো সবজির ব্যবসা করে হচ্ছেনা উপার্জন। কি ভাবে সুদের টাকা শোধ করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তার ওপর দুর্গা পুজোতে দুই মেয়ের আবদার ছিল বাবার কাছে নতুন জামা কাপড় কিনে দেওয়া। দুর্গা পুজোতে অন্যান্য অভিভাবকের মতো নিজের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দিতে পারেননি একটিও বস্ত্র। তার ফলে মেয়েরা বাবা-মায়ের কাছে শুরু করে কান্নাকাটি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তার জেরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল এক সবজি ব্যবসায়ী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলা পুরাতন মালদা থানার নবাবগঞ্জ দত্তপাড়া এলাকায়। মৃত সবজি ব্যবসায়ী নাম রতন হালদার (৩৯)। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী মুক্তি হালদার ও দুই মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় প্রত্যেক দিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান ঐ সবজি ব্যবসায়ী। বুধবার সকালে পরিবারের লোকেরা ঘরের ভেতরে না দেখতে পেয়ে শুরু করেন খোঁজা খুজি। বাড়ির পেছনে দেখতে পান নিম গাছের তার ঝুলন্ত দেহ। মৃতদেহ দেখতে আশেপাশের অন্যান্য বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুরাতন মালদা থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মৃত সবজি ব্যবসায়ী স্ত্রী মুক্তি হালদার জানান, আমার স্বামী কড়া সুদে প্রায় এক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু বিগত দুই বছর ধরে লকডাউন এর জেরে সেই রকম ব্যবসায় লাভ হচ্ছে না। দুর্গাপূজায় আমার দুই মেয়ে বাবার কাছে আবদার করেছিলো জামা কাপড় কেনার জন্য। কোন জামা কাপড় দিতে পারিনি দুই মেয়েকে। সেই নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে আমার স্বামী ঘুমিয়ে যায় তারপরে সকালে মৃতদেহ দেখতে পায় বাড়ির পেছনে নিম গাছের ঝুলছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারসহ গোটা গ্রামে।