উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ১৮ ই অক্টোবর ২০২১ : সোমবার : কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগে জলপাইগুড়ির মালকানি মালিপাড়ায় লক্ষ্মীপুজোর কদম ফুল সহ পূজোর বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে থাকেন এই এলাকার বহু মানুষ। প্রতিবছর লক্ষ্মী পূজার আগে এদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে শুধু এই লক্ষ্মীরা পূজার সামগ্রী বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শিল্পীদের হাতে তৈরি এই সামগ্রী খুবই হালকা এই শিল্পীদের আক্ষেপ দামও তারা হালকা ই পান। দাম একটু বেশি আশা করেন তারা। কিন্তু তারা আক্ষেপ করে বলেন পরিশ্রম অনুযায়ী নেই পারিশ্রমিক। বংশ পরম্পরায় তারা হাতের কাজ করে আসছেন। কিন্তু বছরের পর বছর গেলেও মেলে না কোন সরকারি সাহায্য। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরার সুযোগ নিয়ে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হচ্ছে হস্ত শিল্পীদের সাথে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খাড়িজা বেরুবাড়ি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মালকানি মালিপাড়ার শোলা শিল্পীদের।
মালকানি বাজার থেকে ডান হাতে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার রাস্তা ধরে প্রায় এক কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই মালিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই দুই তিনটি বাঁশ ঝাড়ের নীচে বস্তাপেতে বসে একমনে শোলা কেটে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে দেখা যাবে বাড়ির মহিলা থেকে যুবকরা। সাহায্যের হাত বাড়ির দেন পঞ্চাশ উর্ধ ব্যক্তিরা। পরণে লুঙ্গি, গামছা এবং গেঞ্জি কেউ আবার গরমের কারণে উর্ধ্বাঙ্গ খালি রেখেছেন শিল্পী দীগেন মালাকার, ভানু মালাকার ও ফনী মালাকারেরা। সেখানে কথা হচ্ছিল ফনী মালাকার ছাড়াও কল্যাণী মালাকার, ভানু মালাকারদের সাথে। তারা বলেন একেতেই আর্থিক অনটন, আর করোনার লকডাউনের ফলে আর্থিক সঙ্কট আরও বেড়ে গেছে। সরকারি ভাবে কোন সুবিধা পাওয়া যায় না। আগে চাহিদা থাকলেও এখন অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়ে শোলার কাজ। তা ছাড়া শোলার দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ দেখা দেখা যায় না বলে বক্তব্য তাদের। মালিপাড়া এলাকায় প্রায় ৮৫ টি পরিবার এই শোলার শিল্পের সাথে যুক্ত আছেন। প্রতিটি পরিবারের কিশোর থেকে বুড়ো পর্যন্ত সকলেই দক্ষ হাতে শোলা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে করে থাকেন।