উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ২৬ শে অক্টোবর ২০২১ : মঙ্গলবার : করোনা মহামারীর সময় যখন শিশুরা অপুথিতে ভুগছে রাজ্য সরকার মিড ডে মিল তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাদ্য যেমন সয়াবিন ছোলা তুলে নিয়েছে। ডিম প্রথম থেকেই নেই। এখন যা দেখা যাচ্ছে আলুর দাম পাইকারি বাজারে যখন ২১ থেকে ২২টাকা খোলা বাজারে ২৫টাকা তখন আলু ক্রয়ের জন্য স্কুল গুলিকে দেওয়া হচ্ছে ১৪টাকা। একই ভাবে মুসুরির ডাল, চিনির ক্ষেত্রেও দাম বাজার মূল্যের থেকে কম রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে সমস্যায় পরতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। স্কুল পিছু বরাদ্দ অর্থ থেকে প্রতিমাসে ছাত্র-ছাত্রীদের এক্টিভিটি টাস্ক, মিড ডে মিল এর দ্রব্য ক্যারিং, প্যাকেটিং, স্কুল জীবাণু মুক্ত করতে ব্যায় করতে হয় তার উপর এই বাড়তি বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসন এর মিড ডে মিল এর অধিকারীকে ও প্রাথমিক জেলা পরিদর্শক এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলো নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে। শিক্ষক নেতৃত্ব বলেন এই অবস্থায় হয় প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে স্কুল গুলোকে মিড ডে মিল এর দ্রব্য পাঠানো হোক নচেৎ অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হোক। বিগত পাঁচ মাস জুড়ে ১৬ টাকার পরিবর্তে ১২ থেকে ১৪ টাকা প্রদান করা হয়েছিলো আলুর দাম বাবদ। পাঁচ মাসে যে অর্থ বেরে যার মূল্য আনুমানিক ৫৫লক্ষ টাকা সেই টাকা ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় মিড ডে মিল বাবদ ছাত্র পিছু যে বরাদ্দ রয়েছে তার পুরোটাই শিশুদের জন্য করা হোক। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা নেতৃত্ব কৃষ্ণ সেন, শুভ্র জ্যোতি গাঙ্গুলী, যীশু ব্যানার্জী, জয়দীপ মুখার্জী, প্রসূন কর, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ।