উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩০ শে অক্টোবর ২০২১ : শনিবার : দীপাবলীর আগে নানা ধরনের প্রদীপ এবং মোমবাতি বানাচ্ছে ওরা। মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিঃশ্বার্থ নামে এল সেচ্চাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এলাকার প্রতিবন্ধী মেয়েরা তৈরি করছে রং-বেরং এর নানান প্রদীপ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা স্বত্তেও থেমে নেই ওরা। প্রতিদিনের নিয়ম মেনে আপন খেয়ালে অন্ধকার দূরে সরিয়ে রাখতে দীপাবলীর আগে রংবেরঙের প্রদীপ, ধূপকাঠি ও মোমবাতি তৈরীর কাজ করে চলেছেন ওরা। এদের মধ্যে বাগ্রাকোট এলাকার গরীব পরিবারের মহিলা সাবিত্রী শর্মা, শান্তি ভুজেল, ঠুলো বইনি, সুমিত্রা প্রত্যেকের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কেউ কানে শুনতে পায় না, কেউ আবার ঠিকঠাক হাটাচলাও পারেন না। তবুও তারা থেমে থাকে নি। বাগ্রাকোটের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিঃস্বার্থ’র একটি অফিসে নিয়ম করে প্রতিদিন ওরা আসেন। আর নিয়ম করেই প্রতিদিন চার ঘন্টা কাজ করে চলেছেন। কেউ তৈরি করছে মোমবাতি, কেউ প্রদীপ এবং কেউ ধুপকাঠি তৈরি করছে।
২০০৭ সালে মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট চা বাগানের তৎকালীন ম্যানেজার হর্ষ কুমার ও তার স্ত্রী নীলম কুমার উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করেছিলেন নিঃস্বার্থ সংগঠনটি। উদ্দেশ্য ছিলো চা বাগান এলাকার শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পুরুষ ও মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলা। মাঝে নীলম দেবী প্রয়াত হলেও তার দেখানো পথে এগিয়ে চলেছে সংগঠনটি। শুরুর দিকে ৩৬ জন সদস্য এই কাজ শুরু করলেও বর্তমানে ১৬ জন রয়েছে। এই সংগঠনের ইনচার্জ প্রভাত শর্মা বলেন, ধূপকাঠি, প্রদীপ ও মোমবাতি তৈরিই শুধু নয় সংস্থার উদ্যোগে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের ছেলে মেয়েদের অত্যন্ত কম খরচে কম্পিউটার শেখানো হয়। সংগঠনের তৈরি প্রদীপ, ধূপকাঠি ও মোমবাতি কালীপুজোর আগে ভালোই অর্ডার আসছে। আর এতে খুশি এখানকার মহিলারা।