উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৬ শে অক্টোবর ২০২১ : মঙ্গলবার : গত ৫-৬ দিন হয়ে গেছে পাহাড়ে বৃষ্টি, ধস এবং রাস্তার ক্ষতি কিন্তু এখনও বহু গ্রামে পানীয় জল পৌছাতে পারেনি। ক্ষিপ্ত গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, প্রশাসন পানীয় জলের কোন ব্যবস্থাই করছে না, তাই নিজেরাই জলের পাইপ লাইন ঠিক করতে হাত লাগিয়েছে।
প্রায় ৫-৬ দিন হয়ে গেল প্রবল বৃষ্টির কারনে পাহাড়ের ভয়াভয় পরিস্থিতি। প্রবল বৃষ্টির কারনে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস। যাতায়াতের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত। নেই পানীয় জল। সমস্যা বিদ্দুৎ পরিসেবা নিয়েও। আর এতেই চরম সমস্যায় দিন যাপন করছে পাহাড়ের মানুষেরা। তবে সব থেকে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের নিমবস্তি, সুন্তালে, ঝান্ডি, সামাবিয়ং, মানজিং, লুনসেল, লেপচা গাও, এলাকায়। এই এলাকায় এখনও পানীয় জল পৌচ্ছাতে পারছে না। ৫ দিনের আগের প্রবল বৃষ্টি এবং ধসের ফলে এলাকার জলের সমস্ত পাইপ লাইন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। যার ফলে জলের উৎস থেকে গ্রামে গ্রামে পৌছাতে পারছে না জল। গ্রামের মানুষের অভিযোগ প্রায় ৫-৬ দিন হয়ে গেলো কিন্তু প্রশাসন বা সরকার কোন প্রকার সাহায্য করছে না এই সব গ্রামে। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষেরা একত্রিত হয়ে জলের পাইপ লাইন খুজে বের করছে এবং সেই সব পাইপ জয়েন্ট করে পাহাড়ি জল গ্রামে পৌছানো চেষ্টা করছে। পাশাপাশি গ্রামের মহিলারা প্রতিদিন ৬-৭ কিলোমিটার পায়ে হেটে জল নিয়ে আসছে বাড়িতে।
পাশাপাশি এই ৬টি গ্রামে পৌছানোর দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি লাভার কাছে শেরপা গাও এবং আর একটি গরুবাথানের নিম বস্তি হয়ে। কিন্তু দুই জায়গায় ল্যান্ড স্লাইড হয়ে ভেঙ্গে গেছে রাস্তা। যার ফলে গ্রামের মানুষ চিকিৎসা বা জরুরী কাজে কালিম্পং বা গরুবাথানে যেতে পারছে। এব্যাপারে সরকারি কোন হেল্প পাচ্ছে না, দাবী গ্রামের মানুষের। এই ধসের কারনে সমস্যায় পড়েছে এই সব এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। কারন দুই জায়গার রাস্তায় ধসে গেছে। রিসোর্ট বা হোমষ্টেগুলোতে পানীয় জল পৌছাতে পারছে না। আগে থেকে বুকিং হয়ে যাওয়া হোমষ্টেগুলোতে পর্যটক আসছে ঘুর পথে অন্য রুট দিয়ে। যার ফলে পর্যটকদের বারতি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সব জায়গায় এখনও বিদ্দুৎ পরিসেবা ঠিকঠাক হয় নি। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় পাহাড়ের মানুষ থেকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এলাকার মহিলাদের বক্তব্য কষ্ট করে দুর-দুরান্ত পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রতিদিন জল আনতে হচ্ছে। আমরা গ্রাম্য এলাকায় থাকি বলে আমাদের দিকে নজর নেই প্রশাসনের। তাই কষ্ট করেই বেচে আছি।