30.5 C
New York
Friday, June 20, 2025

Buy now

spot_img

গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় বেশ কিছু বছর থেকে হরিণ সহ অস্ট্রিচ ও কালো মুর্গি পালনে চমকে নবান্নের কর্তারা।

উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৯ ই নভেম্বর ২০২১ : মঙ্গলবার : (সংবাদ দাতা : বিশ্বজিৎ মন্ডল ) : হরিণ পুষছেন ব্লক প্রশাসন। একটি দুটি নয় এক সাথে ২৫ টি, সঙ্গে আবার অস্ট্রিচ, কালো মুরগী সহ আরও বেশ কিছু দোসর।

রাজ্যের মধ্যে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক অফিসেই ছোটো খাটো একটা চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘ কিছু বছর ধরেই চলছে এমন প্রয়াস, যার ছবি দেখে বৃত্তান্ত শুনে চমকে গিয়েছেন নবান্নের কর্তারাও। ব্লক অফিসের মধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে জঙ্গল। মাঝখানে বিশাল পুকুর। সেখানে আবার বোটিং এর ব্যবস্থা। সব থেকে বড় কথা এই মৃগোদ্যান তৈরি করতে বা রক্ষনাবেক্ষন করতে যে খরচ হয়েছে তার সবটাই দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা, পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসন।

আলাদা করে রাজ্য সরকারের কাছে এই মৃগোদ্যান চালানোর জন্য কোনো অর্থ চাওয়া হয়নি। তবে বন দফতরের কর্মী বা আধিকারিকরা মাঝে মধ্যে দেখে যান, দেন পরামর্শ। তবু তার মধ্যেই একটি হরিণের গত মাসেই মৃত্যু হয়েছে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। যার আবার পোস্ট মর্টেম করে সেখানেই মাটিতে পোঁতা হয়েছে। রোজ হরিণদের গাছের পাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়। কাজ করেন বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের বেতন পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের নিজস্ব ফান্ড থেকেই দেওয়া। বহু মানুষ এই জঙ্গলে ঘুরতে আসেন। টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখান থেকেও বেশ কিছু টাকা ওঠে। তা দিয়ে রক্ষনাবেক্ষন হয়। গেস্ট হাউসও করা হয়েছে। বহিরাগত কেউ এলে তাঁদের রাত্রিবাসের জন্যে। যদিও এখন সেই গেস্ট হাউসে ব্লক কর্মীরাই থাকছেন।

পর্যটনের জন্যে বৃহৎ পরিকল্পনাও নিতে চলেছে পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন। বিশেষ করে এই শীতে, করোনার সময় মানুষ খুব বেশি দূরে না গিয়ে একান্তে এই গ্রামের মাঝখানে ছোটখাটো জঙ্গল উপভোগ করতে পারে। কাছাকাছি থেকে হরিণের মাথায় হাত বোলাতেও পারে। দুদিনের ছুটি কাটাতে এই এলাকায় আসতেই পারেন পর্যটকরা, সঙ্গে থাকছে বোটিং। শিশুদের খেলাধুলোর পার্কও আছে। যদিও বন দফতরের হরিণ বা অন্য বন্য প্রাণী পোষা নিয়ে যথার্থ অনুমতি আছে কিনা এই বিষয়ে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বিডিওর দাবী, বন দফতরের অনুমোদন রয়েছে। মূলত বেশ কিছু বছর আগে তৎকালীন বিডিও অশোক কুমার মোদক ৬ টি হরিণ নিয়ে এই মৃগোদ্যান শুরু করেন। তাঁকে সাহায্য করেন হরিশ্চন্দ্র পুর ২ ব্লকের বারদূয়ারী গ্রামেরই কিছু ব্যবসায়ী। আজ সেই ৬ টি হরিণ এখন বেড়ে হয়েছে ২৬ টি। যারমধ্যে একটির মৃত্যু গতমাসেই হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!