উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ ই নভেম্বর ২০২১ : মঙ্গলবার : এবার মালবাজার মহকুমার নাগ্রাকাটা ব্লকের চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ডের দখল নিলো তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত সেখানকার প্রধান ববিতা কাছুযার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা এনেছিলেন ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার ছিল তলবী সভা। তাতে ভোটাভুটির পর নয়া প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত রন্থি তিরকী। প্রধান পদে রন্থির প্রতিদ্বন্দী ছিলেন সাবিনা লাকড়া। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে চা বাগান ঘেরার চম্পাগুড়িতে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটে জেতা ৭ জন সদস্য সম্প্রতি দল বদল করে শাসক দলে নাম লেখায়। বিজেপি-র হাত থেকে বোর্ড হাতছাড়া হওয়ার এটাই কারন। গত আগস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া ব্লক সভাপতি হওয়ার পরপরই সঞ্জয় কুজুর চম্পাগুড়ি দখল নিতে উদ্যোগী হন। তিনি বলেন, বিজেপি-র পরিচালনাধীন বোর্ডে কোন উন্নয়ন না হওযার কারনেই ৭ জন সদস্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা প্রকাশ করে দলে আসেন। এবারে মানুষকে সাথে নিয়ে ওই এলাকায় প্রকৃত উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। সদ্য নির্বাচিত প্রধান রন্থি তিরকীর বক্তব্য, উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন রঙ দেখা হবে না। সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে চাই। বিদায়ী প্রধান ববিতা কাছুয়া বলেন, উন্নয়নের কাজে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিরোধী হিসেবেও সদর্থক ভৃমিকাই পালন করে যাবো।
গত ভোটে মোট ২৫ সদস্য বিশিষ্ট চম্পাগুড়িতে বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন ১৬ জন। বাকি ৯ টি আসন তৃণমূলের ঝুলিতে যায়। বিজেপির ৭ জন সম্প্রতি গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে নাম লেখান। তৃণমূলের নিজের ৯ ও বিজেপি ত্যাগী ৭ জন মিলে ১৬ জন এরপর প্রশাসনের কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে চিঠি দেয়। এরপর নিয়ম মেনে শুনানীর শেষে এদিন ছিল অনাস্থা প্রস্তাবের সভা। তাতে তৃণমূলের প্রধান পদ প্রার্থী রন্থি তিরকী ও বিজেপি শিবিরের সাবিনা লাকড়ার মধ্যে ভোটাভুটি হয়। রন্থিকে ১৬ জন ও সাবিনাকে ৯ জন সমর্থন করেন। প্রশাসনের পক্ষ সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ব্লকের পঞ্চায়েচ উন্নয়ন আধিকারিক জিগমে ডুগ্পা। বিজেপি-র জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মনোজ ভুজেল বলেন, আমাদের বোর্ডের মাধ্যমে এখানে নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কয়েক জন দল ছাড়ে। তাতে পরোয়া নেই। আমরা মানুষকে সাথে নিয়ে চলবো। এদিন বোর্ডের দখল নেওয়ার পরপরই বিজয় উচ্ছাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অকাল হোলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় তাঁদের।