উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৬ ই নভেম্বর ২০২১ : মঙ্গলবার : দীর্ঘ ২২ মাস পর ঘন্টা বাজিয়ে শুরু হল পঠন-পাঠন, আর বিদ্যালয় খুলতেই খুশির হওয়া বইতে দেখা গেল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। এর মধ্যে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলিও হয়ে গেছে। আবার অনেক বিদ্যালয়ে এসেছে নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কোন স্কুল ছাত্রীর আবার বিয়েও হয়ে গেছে। কেউ আবার স্কুলও ছেড়েছে। এরকমই ছবি দেখা গেল মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
এদিন ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন তিন জন শিক্ষক জয়েন্ট করেছেন। এই স্কুলে নতুন শিক্ষক এসেছেন পার্থ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন এত দিন আলিপুর জেলায় শিক্ষাকতা করেছি কিন্তু বিগত ২২ মাস যাবত বাড়িতে বসে বসে বোরিং হয়ে গেছি। স্কুল আজ থেকে খুলে যাওয়ায় ভাল লাগছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মন দিয়ে পড়াশুনা করাতে হবে। স্কুল খুলতেই নতুন স্কুলে শিক্ষাকতা শুরু হবে। ভালোই লাগছে।
মালবাজারের বাসিন্দা রতন সাহা পোদ্দার, কর্মসুত্রে ২০০১ সাল থেকে রায়গঞ্জ স্কুলে শিক্ষাকতা করতেন। স্কুল খুলেই ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বদলি। আজ থেকে নতুন স্কুলে কর্ম জীবন শুরু। খুব ভালোই লাগছে বলে তিনি জানান। তবে কোভিড এর সময় কালে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। সব ভুলে আমরা ছাত্রছাত্রীদের মন দিয়ে পড়াশুনা শিখাতে প্রস্তুত। কোভিড বিধি মেনেই এখন থেকে স্কুল চালু রাখতে আমরা প্রস্তুত। এরকমই অন্যসব স্কুলেও বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি হয়ে গেছে।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী স্নেহা চক্রবর্তী, অজয় বর্মন-রা এদিন সকাল সাড়ে নটার মধ্যেই স্কুলে কোভিড বিধি মেনে এসেছেন। তাদের বক্তব্য অনেক দিন পর স্কুলে এসে খুব ভালো লাগছে। এর মধ্যে অনেক বন্ধু অন্যত্র চলে গেছে, কারোর বিয়েও হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাও বদলি হয়ে গেছে, সেই জন্য মন খারাপ লাগছে। তবে কিছু নতুন টিচারও এসেছে স্কুলে এটাও ভাল খবর। এত দিন বাড়ির মধ্যে আবদ্ধ ছিলাম, এবার স্কুলে বন্ধুদের সাথে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে দেখা এবং কথাবার্তা হওয়ায় ভালো লাগছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিরুমোহন রায় বলেন, ২২ মাস পর স্কুল খুলেছে। কোভিড বিধি মেনেই ক্লাস চলছে। নতুন শিক্ষক যেমন এসেছে, তেমনি পুরোনো শিক্ষকও অন্য স্কুলে গেছে। তারপরও স্কুলে বহু শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এদিন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিও কম ছিল। এদিন কোন অভিভাবকদের স্কুল চত্বরে দেখা যায়নি। এবারের ক্লাসরুমের চেহারা খানিক ভিন্ন। এক বেঞ্চে প্রিয় বন্ধুদের গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে বসা বারন। কোভিড এর জন্য শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা আবশ্যিক।