উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালবাজার : ২৪ শে নভেম্বর ২০২১ : বুধবার : সবে শীত পড়তে শুরু করেছে। শীত পড়তেই ডুয়ার্সের তিস্তা চড়ে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখির দল। সুদুর কুমাউন, গাড়োয়াল, কাশ্মীর ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে উড়ে আসে এইসব পাখির দল। বহুকাল ধরে এভাবেই আসছে এরা। সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই এলাকায় পাখির দল অবস্থান করে। এই পাখির দলকে দেখতে ও তাদের কলতান শুনতে প্রতি বছর বহু পর্যটক এই এলাকায় আসে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এখানে ভোরের আলো নামের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। গড়ে উঠেছে পাখি বিতান। এসবের আকর্ষণে পর্যটক সহ বহু মানুষ এখানে আসেন। মানুষের ভীড় ক্রমাগত বাড়ছে এই এলাকায়। মানুষের ভীড়, যানবাহনের আওয়াজ,ফেলে যাওয়া বর্জ ইত্যাদি কারনে পরিযায়ী পাখিদের স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে। এতেই উদ্বিগ্ন এই এলাকার পরিবেশ প্রেমীরা।
ইতিমধ্যে পাখির দল আসতে শুরু করেছে। এই সময়ে পাখিদের সঠিক রক্ষনাবেক্ষন ও স্বাভাবিক ছন্দে যাতে পতন না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য বুধবার ওদলাবাড়ির ন্যাচার এন্ড অ্যাডভেঞ্চার নামের এক পরিবেশ প্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকে মাল মহকুমা শাসক, বনবিভাগের তারঘেরা রেঞ্জ, গজালডোবা পুলিশ ক্যাম্প, ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির কাছে স্মারক লিপি দেওয়া হয়। পরিবেশ প্রেমী সংস্থার সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি এখানে আসে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই এরকম ভাবে চলে আসছে। বর্তমানে মানুষের সমাগম এই এলাকায় ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে শীতের সময় মানুষের ভীড় বেশি হয়। মানুষের হইচই, যানবাহনের হর্নের শব্দ, উজ্জ্বল আলো পাখিদের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটায়। এটা চলতে থাকলে পাখিদের আগমন কমে যাবে। এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট হবে। পর্যটক ও মানুষ আসুক। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুক। কিন্তু, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ যাতে সর্বত্র থাকে। সবাই যেন লক্ষ্মণ রেখা মেনে চলে। এজন্য আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন করেছি। পাশাপাশি আমরাও ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছি।